পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান স্থানীয় সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি ক্যাসিনো সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, এই বিষয়ে (ক্যাসিনো) কিছুই জানতাম না। ডিএমপি কমিশনার বলেছেন ক্যাসিনোর ‘ক’ অক্ষরও জানতেন না, তাহলে সংসদ সদস্য হিসেবে আমি কীভাবে জানবো? গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি ২০১৬ সালে একদিনই ইয়ংমেন্স ক্লাবে গিয়ে ফিতা কেটেছি, এটাই শেষ। ওই ক্লাবে ২০১৭ সালে ক্যাসিনো শুরু হয়। আমার প্রশ্ন প্রশাসনের কেউ জানতো না ওই ক্লাবে কী হয়? আমি জানবো কীভাবে?
রাশেদ খান মেনন ঢাকা-৮ আসনের এমপি। নির্বাচনী এলাকায় তার সভা সমাবেশে লোক সাপ্লাই দিতেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও ইয়ংমেন্স ক্লাবের সভাপতি যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
ইয়ংমেন্স ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মেনন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটা আলঙ্কারিক পদ, দায়িত্বে থাকার পোস্ট নয়। আমার আগে মায়াও (আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া) একই পদে ছিলেন। তিনি আরো বলেন, ওখানে (ক্লাবে) দেখবেন একজন সভাপতি আছেন, একজন সাধারণ সম্পাদক আছেন।
সংসদীয় এলাকার মধ্যে ক্যাসিনো খেলা হচ্ছে সেটা সংসদ সদস্য হিসাবে জানা উচিত ছিল কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক মন্ত্রী মেনন বলেন, আপনাদের কি ধারণা, প্রশাসনের কেউ জানল না, আমি সংসদ সদস্য হিসেবে জেনে ফেলে দিলাম। ব্যাপারটা কি এতই সহজ বিষয়? উল্টো বিষ্ময়সূচক প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ডিএমপি কমিশনার বলছেন, ক্যাসিনোর ‘ক’ অক্ষর তিনি জানতেন না। তাহলে আমি জানব কীভাবে?
ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ইয়ংমেন্স ক্লাবের সভাপতি যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর রিমান্ডে আছেন। এই ক্লাব দিয়ে অভিযান শুরুর পর আরো অনেক ক্লাবে অভিযানে বেরিয়ে আসছে ঢাকায় ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের গোপন খবর। ক্যাসিনো বাণিজ্যে মাফিয়াচক্রের নাম এখন আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে।
সভায় উপস্থিত জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, আমরা বলছি কোনো দল দেখে, কোনো মুখ দেখে যেনো ব্যবস্থা নেয়া না হয়। যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রশাসন থেকে দুর্নীতির কালো বিড়াল ধ্বংস করতে হবে। রাজনৈতিক দল থেকে দুর্বৃত্তদের বের করে দিতে হবে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।