Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গা ফেরাতে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে হবে : শেখ হাসিনা

আজ জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:৫১ এএম

আজ শুক্রবার বিকেলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ওআইসি সেক্রেটারিয়েট এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে রোহিঙ্গা সঙ্কট : উত্তরণের উপায় শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের একটি অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকেলে কাউন্সিল অন ফরেইন রিলেশন আয়োজিত ‘এ কনভারসেশন উইথ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক ইন্টারঅ্যাকটিভ ডায়ালগে রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমিতে নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে বিশ্ব স¤প্রদায়কে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার আহŸান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের পৈতৃক বাড়িতে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টিতে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে বিশ্ব স¤প্রদায়কে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে। রোহিঙ্গা সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন ভয়ানক চ্যালেঞ্জের মুখে।

শেখ হাসিনা বলেন, পরিকল্পিত নৃশংসতার মাধ্যমে মিয়ানমার সরকার উত্তর রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের নিধন করেছে। তারা (রোহিঙ্গা) নৃশংসতা ও সন্ত্রাস থেকে পালিয়েছিল। আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে সীমান্ত খুলে দেই। প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বাঙালির দুঃসহ স্মৃতির কথা তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নেয়া ১০ লাখ বাংলাদেশিদের অভিজ্ঞতা থেকে এই মানবিক (রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া) সিদ্ধান্ত আসে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ নিজের উদ্বাস্তু জীবনের কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার ছোট বোন এবং আমি দেশের বাইরে থাকায় সে সময় সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এ সঙ্কটের একটি শান্তিপূর্ণ এবং দ্রæত সমাধান চাই। মিয়ানমারে এ সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে এবং মিয়ানমারেই এ সঙ্কটের সমাধান রয়েছে। রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধান করতে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে খুবই সহায়তা করছে।

আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের সবাইকে বাংলাদেশের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আপনারা যখন ক্যাম্পে যাবেন এবং মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী এবং স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হাতে নির্যাতনের ভয়ানক ঘটনা শুনবেন, তখন আপনাদের হৃদয় কেঁপে উঠবে। ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা আপনাদের হৃদয় নাড়িয়ে দেবে এবং আপনারা চাইবেন খুব দ্রæতই যেন তাদের (রোহিঙ্গা) এই কষ্টকর জীবনের সমাপ্তি হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস ও সামাজিক ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতিতে সরকার। আমরা বিশ্বাস করি, সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম ও সীমানা নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস ও চরমপন্থাবিরোধী লড়াইয়ে এবং সঙ্ঘাত বন্ধে চারটি পদক্ষেপ নিতে হবে। এগুলো হলোÑ প্রথমত, সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের জোগান অবশ্যই বন্ধ করতে হবে; দ্বিতীয়ত, তাদের অর্থের জোগান বন্ধ করতে হবে; তৃতীয়ত, সামাজিক বৈষম্য দূর করতে হবে এবং চতুর্থত, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও চরমপন্থা নির্মূলে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং সফলতার কথাও তুলে ধরেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রী একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা সঙ্কট, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক সেক্টর, খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনা হয়েছিল এবং সে আলোচনা এখনো চলমান। আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ও এ আলোচনাকে সমর্থন করেছে। একপর্যায়ে মিয়ানমার তাদের রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে সম্মতও হয়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এখন সমস্যা হলো, নিরাপত্তাহীনতার কারণে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে চায় না। তাছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিছু লোক তাদের ফিরে যেতে নিরুৎসাহিতও করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৮২ সালে মিয়ানমার তাদের সংবিধান পরিবর্তন করে। সেখানে রোহিঙ্গাদের তাদের নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি এবং তাদের (রোহিঙ্গাদের) বহিরাগত হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংগঠন রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করে আসছে। রোহিঙ্গারা যেন তাদের নিজেদের ভূমিতে ফিরে যেতে পারে এবং থাকতে পারে সেজন্য মিয়ানমারের উচিত সে পরিবেশ তৈরি করা। জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক চাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মুসলিম উম্মাহ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মক্কায় ওআইসি সম্মেলনে বলেছিলামÑ যদি মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়, তবে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হওয়া উচিত। কিন্তু যে করেই হোক এটা হচ্ছে না এবং আপনারা জানেন সমস্যা কোথায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সম্পদশালী মুসলিম দেশ আছে যারা তাদের সম্পদ ব্যবহার করতে পারছে না। নিজেদের স্বার্থে সেখানে একটা মহল ভিন্ন খেলা খেলছে। তারা সেখানে বিভক্তি এবং শাসন, এই পলিসিতে খেলছে। মুসলিম উম্মাহর উচিত তাদের দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিকে বোঝার এবং এ থেকে বেরিয়ে আসার। এক্ষেত্রে ওআইসির উচিত পদক্ষেপ নেয়া।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন প্রমুখ।

রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে চারটি প্রস্তাব তুলে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রস্তাব গুলো হচ্ছেÑ ১. রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবর্তন বিষয়ে মিয়ানমারকে অবশ্যই তাদের রাজনৈতিক ইচ্ছে পরিষ্কার করতে হবে। এ জন্য রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কী করছে, সেটাও সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে।

২. বৈষম্যমূলক আইন ও চর্চা পরিত্যাগ করতে হবে এবং রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের উত্তর রাখাইন রাজ্যে ‘যাও এবং দেখো’ এই নীতিতে পরিদর্শনের অনুমতি দিয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই তাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে হবে।
৩. রাখাইন রাজ্যে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের বেসামরিক পর্যবেক্ষক মোতায়েন করে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই রোহিঙ্গাসহ সবার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা (গ্যারান্টি) দিতে হবে।

৪. আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে অবশ্যই রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূল কারণগুলো বিবেচনায় নিতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ওআইসি’র ভূমিকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এক্ষেত্রে ইস্যুটিকে (রোহিঙ্গা সঙ্কট ও তাদের ওপর সংঘটিত নৃশংসতা) আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) নিতে ওআইসির উদ্যোগ হবে সমাধানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ওআইসি অ্যাডহক মন্ত্রিপরিষদ গ্রæপের মাধ্যমে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। রোহিঙ্গা বিষয়ক এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে নতুন প্রস্তাব দেয়ার কথা জানিয়ে বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে আমি ৫টি প্রস্তাব দিয়েছিলাম, যেখানে কফি আনান কমিশনের সুপারিশগুলোর সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন, রাখাইন রাজ্যে আলাদা ‘বেসামরিক পর্যবেক্ষিত সেইফ জোন’ প্রতিষ্ঠার কথা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এবার আমি নিম্নলিখিত বিষয়গুলো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে (ইউএনজিএ) উপস্থাপন করব।

এ আগে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান মিয়ানমারে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট একটি রাজনৈতিক সমস্যা, এর মূল মিয়ানমারে গভীর প্রোথিত। সুতরাং এ সঙ্কটের সমাধান মিয়ানমারের ভেতরেই খুঁজে পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, এতদিনেও রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান না হওয়াকে দুঃখজনক। আমরা রোহিঙ্গা সঙ্কটের কোনো রকম সমাধান ছাড়াই আরো একটি বছর দিয়েছি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের দুর্দশা অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুসারে রোহিঙ্গারা নৃশংস অপরাধের শিকার হয়েছে।

 

 



 

Show all comments
  • ম নাছিরউদ্দীন শাষ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:২৫ এএম says : 0
    আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট মুসলিম বিশ্বের মুসলিম দেশের রাষ্ট্র প্রধানের নিকট। ওআইসি নিকট বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি জাতীয় সংঘে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নিয়ে ভাষণ দিবেন। বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মানবিক অত্যন্ত কঠিন জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য আটার কোটি মানুষের মহান নেতা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ইনশাআল্লাহ সফল হবেন। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জাতীয় সংঘের সিদ্ধান্তের উপেক্ষার রইলাম। বিশ্বের মানবতার মা শান্তির জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাচানোর জন্য। নোবেল পুরুষ্কার পাবেন এই আশা বিশ্বাস সমগ্র জাতির পক্ষে রাখতে পারী। হে রাহমানির রাহিম আমাদের প্রধান মন্ত্রী কে শান্তির পক্ষে সম্মানিত করুন। আমিন। আমিন।
    Total Reply(0) Reply
  • Muhammad Hasan ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:০৮ এএম says : 0
    Tara tader dese pire jak
    Total Reply(0) Reply
  • Shuvo Nazmul ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:০৮ এএম says : 0
    আমাদের সবার প্রিয় আপা, মমতাময়ী নেএী।অতুলনীয় চিন্তাধারা তারই পক্ষে সমভব।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Hridoy ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:০৮ এএম says : 0
    কবে নেবে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আমাদের তো খুবই অসুবিধা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষদের
    Total Reply(0) Reply
  • Md Ashikur Rahman ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:০৯ এএম says : 0
    যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মজা দেখছে
    Total Reply(0) Reply
  • Md Hasan ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:১০ এএম says : 0
    ট্রাম্পের সাথে যখন শেখ হাসিনা কথা বলেছে তাহলে দুই এক দিনের ভিতরে রোহিঙ্গারা সবাই মিয়ানমার চলে যাবে । আর যদি না যায় রোহিঙ্গাদের পিছনে ছাত্রলীগ লেলিয়ে দিতে হবে তাহলেই দেখবেন 24 ঘন্টার ভিতরে মিয়ানমার দখল করে রোহিঙ্গাদের সেখানে বসবাস করার উপযোগী করে তুলেদিবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ