Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হিন্দুদের সুরক্ষায় রানাদাশের ভারতের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা-রাষ্ট্রদ্রোহীতা-ওলামা লীগ

প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের মহাসচিব বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনার তীব্র প্রতিবাদ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী ওলামা লীগ ভাসানী ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ন্যাপ। পৃথক পৃথক প্রতিবাদে সংগঠনসমূহের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রানা দাশের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহীতা সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী ও স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী। তার এ বক্তব্যেকে আইনের আওতায় আনার দাবি করেছেন সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ।
আওয়ামী ওলামা লীগ
আওয়ামী ওলামা লীগের সেক্রেটারি কাজী মাও. আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী বলেছেন ওলামা লীগের পূর্বেও রানা দাশগুপ্ত গংদের বক্তব্যকে উগ্র হিন্দুবাদি, ইসলামবিরোধী দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী বলে তাদের গ্রেফতার ও রাষ্ট্রদ্রোহী আইনে তাদের বিচার দাবি করেছে। রানাদাশ আবারো হিন্দুদের সুরক্ষায় ভারত প্রধানমন্ত্রী মোদীর হস্তক্ষেপ চেয়ে আবারো রাষ্ট্রদ্রোহী ও স্বাধীনতাবিরোধী কাজ করেছেন এর পূর্বেও তার ঔদ্ধত্যের বিচার না করায় এ সাম্প্রদায়িক লোকটি আবারো রাষ্ট্রদ্রোহী করে দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাই অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে রাষ্ট্রদ্রোহী আইনে বিচার করার দাবি করেছেন।
ভাসানী ফ্রন্ট
গতকাল ভারতের দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের মহাসচিব রানা দাশগুপ্ত বাংলাদেশের হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ রানা দাশগুপ্তের এ বক্তব্যকে রাষ্ট্রদ্রোহীতা বলে মনে করে। কারণ সংবিধান অনুযায়ী মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান বাংলাদেশি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করার দায়িত্ব সরকারের। হিন্দুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নয়। তাই এ বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী এবং উগ্র হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা দ্বারা পরিচালিত, যা আমাদের স্বাধীনতার চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি এ পর্যন্ত অনেক বিশিষ্ট নাগরিক সন্ত্রাসীদের আক্রমণে নিহত হয়েছে কারোও প্রশ্নে সহাসনুভূতি প্রকাশ না করে রানা দাশগুপ্তরা শুধু হিন্দুদের রক্ষার জন্য দিল্লির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রানা দাশগুপ্তের এ আচরণ বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে কোনো মৌলিক পার্থক্য নাই।
বাংলাদেশ ন্যাপ
বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত ও অভিনেতা পিযুষ বন্দোপাধ্যায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ কামনা করে প্রদত্ত বক্তব্যে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাপ উৎকণ্ঠা ও চরম বিস্ময় প্রকাশ করেছে। দলের বিবৃতিতে বলা হয়, পিযুষ ও রানা দাশগুপ্তদের এই ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য কী ইঙ্গিত বহন করছে। তারা এ সকল রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিয়ে দেশটাকে কোথায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্র ও সরকারের। আর এ দায়িত্ব পালন করতে অন্য কোনো রাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপের আহ্বান। এই আহ্বান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান। বিবৃতিতে বলা হয়, পিযুষ আর রানা দাশগুপ্তের আহ্বান সমগ্র জাতিকে লজ্জিত ও উৎকন্ঠিত করছে। এ ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হচ্ছে সরকার কার্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য কোনো কিছু করার সামর্থ্য রাখে না। এটা জাতির জন্য চরম লজ্জানজনক এবং সরকারের জন্য তাদের ব্যর্থতার দলিল হিসেবে রেকর্ড হয়ে থাকবে। অন্যদিকে, কোনো স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য রাষ্ট্রে সরকারের হস্তক্ষেপে কামনা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিকদের জন্য অকল্পনীয়, অগ্রহণযোগ্য এবং লজ্জাকর। রানা দাশগুপ্ত ও পিযুষ বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্য আইনের দৃষ্টিতে কোন পর্যায়ে পড়ে এবং তা বিবেচনায় নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের উপরেই বর্তায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ