পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই তো ক্যাসিনো সম্রাট। আর তারাই ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান নিয়ে কটাক্ষ করছে। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে নারী পুরোধা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার-এর আত্মহুতি দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে দেখেছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার আয়কর রিটার্নে ঘোষণা করেছেন তার আয়ের একটি বড় উৎস হচ্ছে ক্যাসিনো। কারণ ইংল্যান্ডে ক্যাসিনো থেকে আয় হলে সেটির কর দিতে হয় না। বিএনপি এমন ক্যাসিনো সম্রাটকে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানিয়ে রেখেছে আর তারাই ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান নিয়ে কটাক্ষ করে!
ড. হাছান, বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বলবো নিজেদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দিকে তাকান, তাদের হাত ধরেই এই সংস্কৃতি বাংলাদেশে চালু হয়েছে। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী আরো বলেন, আপনারা এই সমস্ত অপসংস্কৃতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। হিযবুল বাহার জাহাজে করে বাংলাদেশের মেধাবী ছাত্রদের নিয়ে গিয়ে তাদের মধ্য থেকে সন্ত্রাসী বানিয়ে রাষ্ট্রকে কলুষিত করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মদ, জুয়া ও হাউজিং বন্ধ করেছেন। আর এগুলো সব জিয়াউর রহমান চালু করেছেন। জিয়াউর রহমান সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহ’ সংযোজন করেছিলেন। আর ‘বিসমিল্লাহ’ বলে মদ, জুয়া, হাউজিও চালু করে দিয়েছেন। যাদের একটু বয়স হয়েছে এটি নিশ্চয়ই তাদের মনে আছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা পরপর তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছি, অনেক অনুপ্রবেশকারি আমাদের দলে ঢুকেছে আবার অনেকের নৈতিক স্খলন ঘটেছে, এবং সেই কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দলমত নির্বিশেষে যে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। দলমত নির্বিশেষে কে কোন পথের বা মতের সেটি না দেখে আজকে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা আশা করছিলাম জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য সংগঠন যেভাবে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে, সেভাবে বিএনপিও অভিনন্দন জানাবে। যে অপকর্ম তারা বন্ধ করতে পারেনি বরং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল, সেটি প্রধানমন্ত্রী বন্ধ করেছেন। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো উচিত।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অভিনেত্রী সারাহ্ বেগম কবরী’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য মতিন সরকার, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।