পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ প্রয়োগের ক্ষেত্রে মালিক-শ্রমিকসহ সবার জন্য গ্রহণযোগ্য সুপারিশ করা হচ্ছে। সবার জন্য গ্রহণযোগ্য ও আইনের যে উদ্দেশ্য ছিল তা যেন সাধন করতে পারি, সেটাই আমাদের চেষ্টা। স্টেক হোল্ডারদের দাবি ও পার্শ্ববর্তী দেশের আইন দেখে সামঞ্জস্য বিধান করে সুপারিশ করা হবে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনটির প্রায়োগিক দিক নিয়ে সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ সব তথ্য জানান। উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে সড়ক পরিবহন আইন জাতীয় সংসদে পাস হলেও মালিক-শ্রমিকদের বাধার মুখে প্রয়োগ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি যেগুলো নিয়ে অসুবিধা ছিল, সেগুলো একটি সিদ্ধান্তে এসে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের কাছে প্রতিবেদন পাঠাবো, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সেখানেই হবে। আইনটি দ্রুত পাস হবে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন- অবশ্যই, আমরা আশা করছি দ্রুতই পাস হবে। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করেই সিদ্ধান্ত হবে। সাজা কমানোর যে দাবি ছিল সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেক ধরনের দাবি ছিল, আমরা সবগুলো নিয়েই আলোচনা করেছি। সবগুলো বিশ্লেষণ করে আমরা যে সিদ্ধান্তে যাচ্ছি তা চূড়ান্ত করবো। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে আইনে কী আছে ও শাস্তি কী আছে সেগুলো দেখে পর্যালোচনা করেছি এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি।
আইনটি পাস হওয়ার পরও প্রয়োগ হচ্ছে না কেন, তারা কি রাষ্ট্রের চেয়ে বেশি শক্তিশালী- প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনটি যখন তৈরি করেছি তখন তাদের কিছু দাবি-দাওয়া ছিল। সেই দাবি-দাওয়াগুলো সম্পূর্ণভাবে এখানে উপস্থিত হয়নি বলে তাদের ডিমান্ড ছিল। সেজন্যই আমরা দেখছি প্রায়োগিক দিক থেকে কোন জায়গায় অসুবিধা হচ্ছে। কেন অসুবিধা হচ্ছে, সেগুলো আমরা দেখার জন্য বসেছি। কোন জায়গায় অসুবিধা হচ্ছে সেটা দেখছি, বিশ্লেষণ করছি। আইনটি আবার সংশোধন হতে পারে কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, হ্যাঁ হতে পারে। যদি আমাদের সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল মনে করে আইনটি সংশোধন হতে পারে, তাহলে সংসদে যে প্রক্রিয়ায় যাওয়ার দরকার সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিয়ে যাবে সংসদে।
সংশোধন করে যদি জামিনযোগ্য করা হয় তাহলে ছাত্র আন্দোলনের প্রতি অবজ্ঞা করা হবে বলে কিনা-প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্টেক হোল্ডারদরা যে দাবির কথা বলেছে সেগুলো বিস্তারিত আলোচনা করে দেখেছি। পার্শ্ববর্তী দেশের আইন দেখেছি। এগুলো নিয়ে আমরা একটা সামঞ্জস্য অবস্থানে যাওয়ার জন্য হয়তো একটা সুপারিশ করতে পারি। এখানে জামিন পাবে কি পাবে না, কারো শাস্তি আরও বাড়বে কি বাড়বে না, এটা হলো আমাদের সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ব্যাপার। আমরা শুধু সুপারিশ করার ক্ষমতা রাখছি।
শ্রমিকরা দাবি করছে আইনটি যেন জামিনযোগ্য হয়- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এটা জামিনযোগ্য এই কথাটা বলা ঠিক হবে না। একটা আইন করার পরে জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার পরেও যখন এটাকে প্রয়োগ করা হয় কিছু সুবিধা-অসুবিধার কথা উঠে আসে। আমরা যেহেতু চাই আইনটা সার্বজনীন ক্ষেত্রে প্রয়োগে যাতে অসুবিধা না হয়। আমরা এই আইনের মাধ্যমে যেসব সমস্যা দূরীকরণের চেষ্টা করছিলাম সেটা যাতে আরও ভালোভাবে হয় সেজন্য জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল আমাদের দায়িত্ব দিয়েছিল। উল্লেখ্য, গত বছর রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসের ধাক্কায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় সারাদেশে নিরাপদ সড়কের আন্দোলন শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হয় সড়ক পরিবহন আইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।