Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

‘স্টারফিস’ বিমানবন্দর চালু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

মুসলিম নারী স্থপতি যাহা মোহাম্মদ হাদিদ পরিকল্পনা ও নকশায় তৈরি অত্যাধুনিক বিমানবন্দর ‘ড্যাক্সিং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট’ চালু হলো। রাজধানী বেইজিংয়ে অবস্থিত চীনের বৃহত্তম এই বিমানবন্দরটির নির্মাণ কাজ গত চার বছর ধরে চলছিল। উপর থেকে এটিকে তারামাছের মতো দেখতে বলে এর ডাক নাম হয়ে গিয়েছে ‘স্টারফিস এয়ারপোর্ট’। প্রায় ১০০টি ফুটবল মাঠের সমান এই এয়ারপোর্টের ছবি বার বার ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ বার প্রকাশ হলো ভিডিও। সেগুলিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে সময় নেয়নি।

ইরাকি-ব্রিটিশ স্থপতি জাহা হাদিদ ২০১৬ সালে মারা গিয়েছেন। তবে তার অনন্য কাজগুলোর মধ্যে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে অসাধারণ এই বিমানবন্দর। এর টার্মিনাল বিল্ডিংটি প্রায় তিন লাখ ১৩ হাজার বর্গ মিটার জায়গায় তৈরি। দেয়ালে বিশেষ ফিল্টার কাচ ব্যবহার করা হয়েছে, যা সূর্যের তাপ ৬০ শতাংশ আটকে দেবে। আবার প্রয়োজনে ৬০ শতাংশ আলো চলাচল করতে পারবে এই কাচের ভেতর দিয়ে।

বুধবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উদ্বোধন করেন বিমানবন্দরটি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, আস্তে আস্তে এর যাত্রী পরিবহণ ক্ষমতা বাড়ানো হবে। ২০২১ সালে এই বিমানবন্দর বছরে সাড়ে ৪ কোটি যাত্রী সামলাতে পারবে। ২০২৫ সালে সেটি বাড়িয়ে সাত কোটি ২০ লাখ করার চেষ্টায় আছে প্রশাসন। ২০৪০ সালে বছরে ১০ কোটি যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন বলেও দাবি করেছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া অনেক বিমান সংস্থাই এই বিমানবন্দর ব্যবহার করার কথা জানিয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ক্যাথি প্যাসিফিক, ফিনএয়ার। এছাড়াও ডেল্টা, এয়ার ফ্রান্স, রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইন্স, ইস্টার্ন এয়ারলাইন ও চায়না সাদার্ন এয়ারলাইন্সও তাদের ফ্লাইট এখান থেকে শুরু করবে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারের দাবি, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এই বিমানবন্দরকে আরও স্মার্ট ও কার্যকরি করে তুলেছে। এটিকে ইতিমধ্যেই ভবিষ্যতের বিমানবন্দর বলতে শুরু করেছে নেটিজেনরা। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।
৫৫ কোটি টাকার ছবি
ইনকিলাব ডেস্ক
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উত্তরাংশের একটি বাড়ির রান্নাঘরে পাওয়া গেছে রেনেসাঁ যুগের শুরুর দিকের একটি চিত্রকর্ম। বাড়ির মালিক একজন ৯০ বছরের বৃদ্ধা। সাধারণ কোন ছবি মনে কনে তিনি সেটি ঝুলিয়ে রেখেছিলেন রান্নাঘরে। দীর্ঘ সময়ের পর জানা গেল, সেই ছবির আসল রহস্য। খবর বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ছবিটি ত্রয়োদশ শতাব্দীর বিখ্যাত এক চিত্রকর্ম। ঐতিহাসিক এই চিত্রকর্মের নাম ‘ক্রাইস্ট মকড’। বিভিন্ন পরীক্ষার পর গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, চিত্রকর্মটি রেনেসাঁ যুগের ইতালির বিখ্যাত চিত্রশিল্পী সিমাবুয়ের আঁকা ধারাবাহিক চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে একটি। তিনি ছিলেন আরেক বিখ্যাত শিল্পী ও স্থাপত্যবিদ গিট্টোর শিক্ষক। ছবিটি ১২৮০ সালের দিকে তিনি একেছিলেন।

ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের শহর কম্পিনে ১৯৬০ সালে তৈরি ওই বাড়িটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বৃদ্ধা। এজন্য তিনি আসবাবসহ আরো কিছু পুরানো জিনিসপত্র বিক্রির জন্য এক নিলাম সংস্থার সাথে যোগাযোগ করেন। তাদের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি জরিপের জন্য সেখানে যেয়ে শিল্পকর্মটি আবিস্কার করেন। তবে ছবিটি কিভাবে তার পরিবারের হাতে এসেছিল সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি ওই বৃদ্ধা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিত্রকর্মটিতে কোনো ধরনের বিকৃতির নমুনা পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, নিলামে ছবিটির দাম সর্বোচ্চ ছয় মিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত উঠতে পারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫৫ কোটি টাকারও বেশি। সূত্র : বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ