পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719371495](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামীর সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকার ও মংলা বন্দর কতৃপক্ষ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০২১ সালে মংলা হবে বিশ্বের অন্যতম সমুদ্র বন্দর। গতকাল দুপুরে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ১৫তম বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকার মোংলা বন্দরকে মৃত বন্দরে পরিণত করেছিলো। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই মোংলা বন্দরের প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছেন। মংলা এখন কর্মচঞ্চল ও লাভজনক বন্দরে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী তিন-চার বছরের মধ্যেই সম্ভাবনার আধুনিক আর্ন্তজাতিক সমুদ্র বন্দরে পরিণত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মংলা বন্দর এখন আমাদের দেশীয় বন্দরই নয়, এটি এখন আর্ন্তজাতিক সমুদ্র বন্দর। এই বন্দরের সুযোগ সুবিধা এখন প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোও গ্রহণ করছে। এর আগে সকালে তিনি মংলা বন্দর জেটিসহ বন্দরের গুরুত্বপ‚র্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, সংসদ সদস্য ডাক্তার মোজ্জাম্মেল হোসেন, কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন এম মিনারুল হক, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, পুলিশ কমিশনার খুলনা লুৎফুল কবির, বারবিডা সভাপতি আবদুল হক, খুলনা চেম্বারের সহসভাপতি মোস্তফা জেসান ভূট্ট, মংলা বন্দর স্টিভিডরস এসোসিশেনের সভাপতি মো. জাহিদ হোসেন, নৌ-পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব পল্টু খান, মংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, মংলা পৌর সভার মেয়র জুলফিকার আলীসহ বন্দরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বন্দরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভার শুরুতে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোজ্জাম্মেল হক বন্দরের চলমান সকল প্রকল্প ও প্রয়োজনীয় ইকুপমেন্ট সম্পর্কে বন্দর প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন। সভায় বন্দরের বিদ্যমান নানা সমস্যা তুলে ধরে ব্যবসায়ীরা বলেন, বন্দরের কন্টেইনার ইয়ার্ড ব্যবহারের অযোগ্য তাই একটি নতুন শেড নির্মাণের দাবি করেন।
মংলা পোট পৌরসভার মেয়র জুলফিকার আলী বলেন, খুলনার রুজবেল্ট জেঠির আদলে মংলা বন্দরে একটি আধুনিক জেঠি নির্মাণ এবং সুপেয় পানি সংরক্ষণের জন্য সু-ব্যবস্থা করতে হবে। কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর সক্ষমতা কাজে লাগাতে একটি ডিপো নির্মাণের দাবি করেন বাগেরহাট চেম্বারের সভাপতি লিয়াকত আলী।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার মংলায় একটি বন্দর থানা নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। নৌ-চলাচল নিরাপদ রাখতে বন্দর চ্যানেলে নেভিগেশন ব্যবস্থা উন্নতি করার আহবান জানানো হয় নৌ বাহিনীর পক্ষ থেকে।
সভায় মংলা বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মোজ্জাম্মেল হক সকলের উদ্দেশে জানান, মংলা বন্দর সংলগ্ন বিমান বন্দর, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রেল লাইন, পদ্মা ব্রীজ নির্মিত হলে দিগুন রাজস্ব আয় করবে। সভা শেষে বিকালে বন্দরের নব নির্বাচিত কর্মচারী সংর্ঘের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বারের মতো মংলা বন্দর পরিদর্শন করলেন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।