পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বা নিধনের জন্য একই ওষুধ কেনায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের চেয়ে দক্ষিণ সিটি ৪০ শতাংশ বেশি টাকা খরচ করেছে বলে ট্রান্সপারেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
টিআইবি বলছে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কীটনাশক কেনাসহ বার্ষিক পরিকল্পনায় অনিয়ম ছিল তাদের। দরপত্র পদ্ধতি, নথি ও দাখিলেও অনিয়ম দেখা গেছে। কীটনাশক কেনার আগে মাঠপর্যায়ে পরীক্ষায় অনিয়ম ও সীমাবদ্ধতা ছিল। মশক নিধন কার্যক্রমেও অনিয়ম দুর্নীতি আছে।
আজ বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ঢাকা শহরের এডিস 'মশা নিয়ন্ত্রণে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ডাকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের মাধ্যমে লিমিট এগ্রোপ্রোডাক্টের কাছ থেকে প্রতি লিটার কীটনাশক ৩৭৮ টাকায় সরাসরি কেনার কার্যাদেশ দেয়। একই প্রতিষ্ঠান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উন্মুক্ত দরপত্রে প্রতি লিটার কীটনাশক ২১৭ টাকায় দেয়ার প্রস্তাব করে। এ হিসাবে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ক্ষতি হয়েছে প্রতি লিটারে ১৬১ টাকা। অর্থাৎ ৪০ শতাংশ বেশি আর্থিক ক্ষতি করে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কীটনাশক কিনেছে।
গুণগত পদ্ধতিতে টিআইবি এ গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছে দাবি করে সংস্থাটি জানায়, এটি করতে তারা এক মাস সময় নিয়েছেন। জরুরি স্বাস্থ্য বিবেচনায় টিআইবি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
টিআইবি বলছে, প্রাক বর্ষা মৌসুমে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব ছিল ২১ শতাংশ এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ছিল ২৬ শতাংশ। অথচ ২০ শতাংশের বেশি এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি থাকলে ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়। ২০১৮ সালেও দুই সিটির গড় ২০ শতাংশের বেশি ছিল। এটি ক্ষতিকর মাত্রার চেয়ে বেশি বলে তাদের অবহিত করেছিল আইসিডিডিআরবি (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ)।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় শুধু বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ছয় শতাধিক। রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতর শুধু ৪০টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের তথ্য সংকলন করেছে। গুটি কয়েক হাসপাতালের খণ্ডিত পরিসংখ্যান দিয়ে অন্যান্য দেশের তুলনায় দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের হারের তুলনামূলক চিত্র দিয়ে পরিস্থিতির মাত্রা কম দেখানো হয়েছে।
টিআইইবির মতে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি কর্পোরেশনের এলাকাভিত্তিক বা আঞ্চলিক কোনো পরিকল্পনা ছিল না। দুই সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষক মোহম্মাদ জুলকার নাইন এবং মোস্তফা কামাল। এ ছাড়া টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।