পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানবাধিকার কাজে অভিজ্ঞতাহীন ব্যাক্তিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসন নিয়োগ করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)। গতকাল এব বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে কোনোরূপ আলোচনা ছাড়াই কমিশনের নিয়োগে সরাসরি মানবাধিকার সংক্রান্ত কাজের অভিজ্ঞতা নেই এমন ব্যক্তিবর্গকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে মানবাধিকার কমিশনের ও সদস্যদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। চেয়ারপারসন হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব নাছিমা বেগমকে এবং সদস্য হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ (সার্বক্ষণিক), অ্যাডভোকেট তৌফিকা আফতাব, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিজানুর রহমান খান এবং অবসরপ্রাপ্ত সচিব ড. নমিতা হালদারকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
এইচআরএফবি বলছে এমন সকল অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া হলো যাদের কমিশনের এখতিয়ার তথা মানবাধিকার বা এর সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো দায়িত্বে সম্পৃক্ততা কিংবা আইন ও ন্যায়-বিচার ইত্যাদি ক্ষেত্রে কোনো দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নেই। নিয়োগপ্রাপ্তদের সরাসরি মানবাধিকারসংক্রান্ত কাজে স¤পৃক্ত থাকার পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় ফোরাম গভীর হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
নাগরিক সংগঠনগুলো মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পূর্ব থেকেই জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানসংক্রান্ত প্যারিস নীতিমালা অনুসরণ করে একটি উন্মুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া অনুসরণ করার জন্য নির্বাচনী কমিটিকে আহ্বান জানিয়ে এসেছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোনো পর্যায়েই সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে আলোচনা বা মতবিনিময় করা হয়নি এবং দেড় মাসের অধিক সময় ধরে মানবাধিকার রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানটি নেতৃত্ব শূন্য ছিল।
বিবৃতি আরো বলা হয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নাগরিকদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল। এ কমিশন নাগরিক ও নাগরিক সংগঠন এবং সরকারের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করে। সর্বোপরি এ প্রতিষ্ঠান মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিদের আশ্রয়স্থল হিসেবে বিবেচিত। নানা কারণে প্রতিষ্ঠার প্রায় দশ বছর পরও প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা ও নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটিকে মূলত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মক্ষেত্র হিসেবে রূপান্তর করা প্রতিষ্ঠানটির কার্যকারীতাকে আরো প্রশ্নবিদ্ধ করবে এবং এর গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস করবে বলে ফোরাম আশংকা করছে, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
হতাশা ও উদ্বেগ সত্তে¡ও ফোরাম আশাবাদী হতে চায়। নতুন কমিশন জনগণের মানবাধিকার রক্ষার কার্যক্রমে নিরপেক্ষতা ও কার্যকারীতা বজায় রাখবে এবং এ প্রচেষ্টায় এইচআরএফবিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে সম্ভাব্য সকল প্রকার সহযোগিতা ও যোগাযোগ বজায় রাখবে বলে ফোরাম প্রত্যাশা করছে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।