Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নেতাদের টাকা এখন পাতি নেতাদের কাছে

ইয়াছিন রানা | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

আওয়ামী লীগের বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ ও ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত নেতাদের অবৈধ টাকা এখন পাতি নেতা, সাঙ্গো-পাঙ্গো, আত্মীয় স্বজন, কর্মচারীদের কাছে। র‌্যাব পুলিশের অভিযানের ভয়ে এখন ক্যাসিনোর অবৈধ টাকা নিজের কাছে রাখতে নিরাপদ বোধ করছেন না এসব দুর্নীতিবাজরা। টাকা রক্ষা করার জন্য দূরের বিশ্বস্ত আত্মীয়, পাতি নেতা বা বন্ধুদের বাসায় সরিয়ে ফেলছেন তারা। 

সূত্র জানায়, ক্যাসিনোর চাঁদাবাজির বিপুল পরিমাণ টাকা কেউই ব্যাংক একাউন্টে রাখতেন না। ব্যাংকের মাধ্যমে কোন লেনদেনও করতেন না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিতেন। কিন্তু অনেক নেতা দেশের বাইরে বিশ্বস্ত কাউকে না পাওয়ায় এবং সোর্স না থাকায় দেশেই নিজ বাসায় টাকাগুলো লুকিয়ে রাখতেন। র‌্যাব পুলিশের বাসায় বাসায় অভিযানের কারণে বাসায় টাকা রাখা নিরাপদ বোধ করছেন না ক্যাসিনো কারবারের সঙ্গে জড়িতরা। তাই তাদের খুবই বিশ্বস্ত কাছের ছোট নেতা, বন্ধুদের বাসায় টাকাগুলো লুকিয়ে রাখছেন।
গতকাল রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হকের বাসায় অভিযান চালিয়ে দুই কোটি টাকা ও ৭২০ ভরি স্বর্ণ আটক করা হয়। এরপর এনামুলের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের নারিন্দার বাসায় অভিযান চালিয়ে একটা ভল্টের সন্ধান পায় র‌্যাব। ভল্টে প্রায় দুই কোটি ছিল।
সূত্র জানায়, ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িতদের প্রায় তিন’শ নেতা দেশের বাইরে আত্মগোপনে চলে গেছেন। যারা দেশে আছেন তারাও গাঢাকা দিয়েছেন। যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগের নেতাদের অনেকের মোবাইল নাম্বার বন্ধ। অভিযান থেকে নিজেদের রক্ষা করতে তারা এ কৌশল অবলম্বন করছেন।
তবে তাদের কাছে রক্ষিত টাকা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। কোথায় রাখবেন তা নিয়েও টেনশনে রয়েছেন। যারা কাছে রাখবেন পরে যদি এই টাকা ফেরত না পান সেই টেনশনই বেশি। আবার বিপুল পরিমাণ নগদ টাকাসহ র‌্যাব পুলিশের কাছে ধরা পড়লেও রক্ষা নেই। কারণ এসব টাকার কোন হিসেব দিতে পারবেন না তারা। তাই সম্ভাব্য যেসব জায়গায় টাকা রাখলে তা নিরাপদ থাকবে সে ব্যবস্থাই করছে এসব দুর্নীতিবাজরা।

এদিকে কতদিন এ শুদ্ধি অভিযান চলবে তা জানার চেষ্টা করছে তারা। এজন্য তাদের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে পরামর্শও করছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেউ এ বিষয়ে জানেন না উল্লেখ করে সিনিয়র নেতারা ওইসব নেতাদের আত্মগোপনে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। পরিস্থিতি কিছুটা ভাল হলে এরপর আবার সক্রিয় হতে বলছেন। #



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ