পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সংসদকে অবৈধভাবে স্থগিত করেছেন বলে রায় দিয়েছে ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার মাত্র এক মাসের কম সময় বাকি। তার আগেই গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট এই ঐতিহাসিক রায় দিল।
পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত বেআইনির রায় যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতের ১১ বিচারপতি সর্বসম্মতভাবে ঘোষণা করেছেন। স্কটল্যান্ডের সর্বোচ্চ দেওয়ানী আদালতের রায় বহাল রেখে সুপ্রীম কোর্ট ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সংসদ স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্ত অকার্যকর ঘোষণা করেছে। যার সংসদ অধিবেশনে এখনো বহাল রয়েছে। ফলে এখন চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে আরো বেশী সময় পাবেন বিরোধী এমপিরা।
গত ১০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট পরবর্তী পাঁচ সপ্তাহের জন্য মুলতবি ঘোষণা করা হয়। এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেছিলেন, আগামী ১৪ অক্টোবর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নতুন সরকারের কার্মপরিকল্পনা নিয়ে পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন। সেই কাজ সুষ্ঠুভাবে করতেই পার্লামেন্টের সর্বশেষ অধিবেশন মুলতবি করা হয়েছে। তবে ওই দিনই প্রতিনিধি পরিষদে জনসনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন পার্লামেন্ট সদস্যরা।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আগামী ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা সামনে রেখে পার্লামেন্টের দায়িত্ব পালন বন্ধ করাটা ভুল ছিল। দেশের গণতন্ত্রের মৌলিক বিষয়গুলোর উপর এর প্রভাব ভয়াবহ বলেও রায়ে অভিমত দেয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ব্রেন্ডা হেল বলেন, রানিকে পার্লামেন্ট স্থগিতের অনুরোধের সিদ্ধান্ত আইনসম্মত ছিল না। কারণ এর প্রভাব ছিল হতাশাজনক। এর মধ্য দিয়ে যৌক্তিক কারণ ছাড়াই পার্লামেন্টের সাংবিধানিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রদ করা হয়েছে।
এখন কি হবে সে সিদ্ধান্তের ভার হাউজ অব কমন্স এবং হাউজ অব লর্ডসের স্পিকারদের উপর ছেড়ে দিয়েছে আদালত। আর আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে হাউজ অব কমন্সের স্পিকার জন বারকাউ বলেছেন, আর দেরি না করে পার্লামেন্ট বসবে, জরুরি ভিত্তিতে দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। এ বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, তারা আদালতের রায় বোঝার চেষ্টা করছেন। রায়ের পর বরিস জনসনকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকেই। লেবার পার্টির নেতা এবং বিরোধী দলের প্রধান জেরেমি করবিন জনসনকে এখনই তার পদ ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ব্রাইটনে লেবার পার্টির সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমি বরিস জনসনকে ঐতিহাসিক ভাষায় তার অবস্থান বিবেচনার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’ অবৈধভাবে সংসদ স্থগিত করে জনসন গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনকে অবজ্ঞা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন করবিন। রায় শুনে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ইংলিশ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলকারী ব্যবসায়ী জিনা মিলার। তিনি বলেছেন, বুধবারই প্রধানমন্ত্রীকে পার্লামেন্টের দরজা খুলে দিতে হবে। এমপিদেরকে ফিরতে হবে পার্লামেন্টে এবং সাহসী হতে হবে। এই বিবেকবর্জিত সরকারকে জবাবদিহিতায় আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। লিবারেল ডেমোক্র্যাটস নেতা জো সোয়েনসন বলেছেন, ‘আমরা যা জানতাম, বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার উপযুক্ত নয়, এই রায়টি তাই নিশ্চিত করেছে। তিনি রানি এবং দেশকে ভুল পথে পরিচালনা করেছেন এবং জনগণের প্রতিনিধিদের অবৈধভাবে চুপ করিয়ে রেখেছেন।’ সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।