পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানে কার্যত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চ সাজাতে দেখা যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। বিনিময়ে কাশ্মীরসহ নানা ক্ষেত্রে মার্কিন সাহায্য পাওয়া যাবে বলে আশা করেছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু পরদিন সোমবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের পরে ফের কাশ্মীর প্রশ্নে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। ভারতীয় ক‚টনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃতীয়বারের মতো প্রস্তাব দেয়ায় ট্রাম্প আরো একবার নয়াদিল্লিকে অস্বস্তিতে ফেললেন। ভারত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করার পরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে নানা মঞ্চে কাশ্মীর সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করছেন ইমরান খান।
কিন্তু সোমবার ট্রাম্পের উপস্থিতিতে মোদি যেভাবে কাশ্মীর নিয়ে সুর চড়িয়েছেন, সন্ত্রাস প্রশ্নে পাকিস্তানকে আক্রমণ করেছেন, তাতে ইমরান আর বিশেষ সুবিধা করতে পারবেন না বলে দাবি করছিলেন ভারতীয় ক‚টনীতিকরা। কিন্তু ইমরানের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি পাকিস্তানের ওপর ভরসা করি। আমি চাই কাশ্মীরে সকলে ভাল থাকুন। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রধানমন্ত্রী খানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভাল। তারা দু’জনই যদি বলেন যে, আমাদের একটা সমস্যা দূর করার আছে, তাহলে আমি সেটা করতে পারি।’ একই সঙ্গে ট্রাম্পের দাবি, ‘আমি খুবই ভাল মধ্যস্থতাকারী।’
এর আগে ইমরানের পাশে বসে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, কাশ্মীর নিয়ে মোদিই তাকে মধ্যস্থতাকারী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। ভারত তার প্রতিবাদ করে জানিয়ে দেয়, কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক সমস্যা। শুরুতে নিজের অবস্থানে অনড় থাকলেও পরে মধ্যস্থতাকারী হতে চান না বলে মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প। হিউস্টনের মঞ্চে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে নাম উল্লেখ না করে পাকিস্তানকে তুলোধুনা করেন মোদি। ‘মৌলবাদী জঙ্গি’দের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ের কথা বলেন ট্রাম্পও। কিন্তু এদিন তিনি বলেন, ‘কাল ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করতে শুনলাম। সেটা আশা করিনি।’ তবে একই সঙ্গে তার মন্তব্য ‘ওই কথা শুনে ৫০ হাজার মানুষ খুশি হলেন।’ কিন্তু মোদি তো জঙ্গি ঘাঁটি হিসেবে পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন? ট্রাম্পের জবাব, ‘আমি ইরানকেই বেশি ইঙ্গিত করেছি।’ ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দাবি, এটা প্রত্যাশিতই ছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার মতে, ‘পাকিস্তানকে পুরোপুরি ছুড়ে ফেলা ট্রাম্পের পক্ষে সম্ভব নয়। মনে রাখতে হবে ট্রাম্প জানিয়েছেন যে, দু’পক্ষ চাইলে তবেই তিনি সালিশ করবেন। ভারত যে রাজি নয় তা তিনি জানেন।’ সূত্র : এবিপি, ডন, বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।