পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পরও দমে যায়নি ছাত্রদল। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মধুর ক্যান্টিনে সরব উপস্থিতি দেখা যায় ছাত্রদলের। এ দিন সংগঠনটির সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের নেতৃত্বে প্রায় ২ শতাধিক নেতাকর্মীকে মধুর ক্যান্টিনে আড্ডা দিতে দেখা যায়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে টিএসসিতে জড়ো হয় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে ১০টার দিকে এক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান নেন তারা। ছাত্রদলের মিছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে। এ সময় সোমবারের হামলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হামলার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন তারা।
এর আগে গত সোমবার দুপুরে টিএসসি এলাকায় ছাত্রলীগের ঢাবি সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে হামলার শিকার হন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এতে ৩ সাংবাদিকসহ ছাত্রদলের ৩০ নেতাকর্মী আহত হন। বিকালে ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে সনজিতের গ্রেফতার দাবি করে ছাত্রদল।
ভিসি বরাবর আবেদন
এদিকে সোমবারের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে প্রক্টরের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে আবেদন জমা দিয়েছে ছাত্রদল। এতে হামলার সাথে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানানো হয়।
আহত সাংবাদিকের খোঁজখবর
এদিন দুপুরে ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সোমবারের ঘটনায় আহত সাংবাদিক আনিসুর রহমানকে দেখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে যান। এ সময় সাংবাদিকের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেয়ার পাশাপাশি সেখানে তার সাথে সময় ব্যয় করেন।
সার্বিক বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, হামলা করে বা ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাত্রদলকে থামিয়ে রাখা যাবে না। সোমবার হামলা করা সত্তে¡ও আমরা আজ (মঙ্গলবার) মধুর ক্যান্টিনে গিয়েছি। আজকে তারা আমাদের শারীরিকভাবে হামলা না করলেও বিভিন্ন ধরনের খারাপ ও উসকানিমূলক স্লোগান দিয়েছে। ঢাবি ছাত্রদলের উদ্যোগে আমরা ভিসি বরাবর হমলার বিচার দাবি করে আবেদন জমা দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।