পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোথাও সুন্দরী তরুণী তাস বিছিয়ে দিচ্ছেন। কোথাও টেবিলের ওপর থরে থরে সাজানো ক্যাসিনোর কয়েন, তার পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন সুন্দরী নারী। কোথাও উল্লাস করছেন ‘চিয়ার্স গার্ল’। এমন অসংখ্য ছবি দিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে রাজধানীর ভিক্টোরিয়া ক্লাব। ভেতরে ঢুকে চোখ বোলালেই যেন মনে হবে জুয়ার স্বর্গরাজ্য লাস ভেগাস।
ক্লাবের দৃশ্য দেখে ডিসি আনোয়ার বলেন, এখানে যে নিয়মিত জুয়া চলত তা সহজেই বোঝা যায়। ভিক্টোরিয়া ক্লাবের দৃশ্য দেখে এক পুলিশ সদস্য বলেন, লাস ভেগাসে কখনও যাওয়া হয়নি। টেলিভিশনে ক্যাসিনো ও জুয়া খেলার দৃশ্য দেখেছি। এই ক্লাবের ভেতরে ঢুকে টেলিভিশনের দৃশ্য বারবার চোখে ভেসে উঠছে। এ যেন পুরাই লাস ভেগাস। এভাবে জুয়ার ছবি দিয়ে ক্লাবের সর্বত্র সাজানো থাকবে, কল্পনাও করতে পারিনি।
মতিঝিলে বেসরকারি একটি অফিসে চাকরি করা রকিবুল ইসলাম বলেন, উৎসাহের বসে পুলিশের অভিযানের সময় ভিক্টোরিয়া ক্লাবের ভেতর ঢুকে পড়ি। ভেতরের দৃশ্য দেখে তো অবাক হয়েছি। ক্লাবের সর্বত্রই জুয়ার সামগ্রী। এখানে যে জুয়া ছাড়া অন্য কোনো খেলা হয় না, তা যে কেউ দেখলেই বুঝতে পারবে।
ভিক্টোরিয়া ক্লাবের গেট দিয়ে প্রবেশ করে চোখে পড়ে টেবিলের ওপর থরে থরে সাজানো তাস। খোলা তাসের পাশাপাশি রয়েছে প্যাকেট করা তাসের অসংখ্য বান্ডিল। এর মধ্যেই রয়েছে একটি মদের বোতল। তার পাশের একটি টেবিলে রয়েছে ক্যাসিনোর কয়েন। ক্লাবের ভেতরের প্রতিটি ওয়ালে ঝুলছে জুয়ার সামগ্রীর সঙ্গে সুন্দরী নারীদের ছবি। একেবারে পশ্চিম দিকে রয়েছে ক্যাশ কাউন্টার। তার পাশেই রয়েছে একটি বাথরুম। এই বাথরুমটির অ্যাডজাস্ট ফ্যান খুলে ফেলে রাখা রয়েছে। তবে চারটি ক্লাবের কোনটি থেকেই পুলিশ গতকাল কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।