Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস আজ

প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় আজ ২২ সেপ্টেম্বর রোববার বাংলাদেশে পালিত হবে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস-২০১৯। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় সংসদের দক্ষিণপ্লাজায় মানিক মিয়া এভিনিউতে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার নানান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস ২০১৯ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা আলাদা বাণী দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ব্যক্তিগত গাড়ির ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর পাশাপাশি ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষযে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।

বলেন, রাজধানী ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে আধুনিক নগর পরিকল্পনার ধারণাকে সমুন্নত রেখে ব্যক্তিগত গাড়ির ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর পাশাপাশি ট্রাফিক আইন মেনে চলা এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। যান্ত্রিক বাহনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে পথচারীদের জন্য প্রশস্ত ফুটপাথ ও সাইকেল আরোহীদের জন্য পৃথক ও স্বাচ্ছন্দ্যময় চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা সম্মিলিতভাবে আজ বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস ২০১৯’ উদ্যাপন করছে জেনে প্রেসিডেন্ট সন্তোষ প্রকাশ করেন। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য নিরাপদ ‘হাটা এবং সাইক্লিং’ অত্যন্ত সময় উপযোগী হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পরিবহন খাতে ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ খাতে দৃশ্যমান উন্নতি সাধিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণপরিবহন ব্যবস্থার পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলার উন্নতি ঘটেছে। মহাসড়ক নেটওয়ার্ক পূর্বের তুলনায় অনেক স্বস্তিদায়ক হয়েছে।’ দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য সেফ ওয়াকিং এবং সাইক্লিং। শেখ হাসিনা বলেন, যানজট, বায়ু ও শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যক্তিগত গাড়ির ওপর নির্ভরতা হ্রাস করার লক্ষ্যে সরকার সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (আরএসটিপি) প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে ও ব্যক্তিগত গাড়ির ওপর নির্ভরতা হ্রাসে দেশের প্রথম মেট্রোরেল গণর‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ নির্মাণের কাজ পুরোদমে চলছে। ঢাকা মহানগরী ও গাজীপুর মহানগরীর জনসাধারণের দ্রæত যাতায়াতের সুবিধার্থে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)-(গাজীপুর-এয়ারপোর্ট) করিডোর নির্মাণের কাজও এগিয়ে চলছে। বাণীতে তিনি দিবসটি পালনের মধ্য দিয়ে গণপরিবহনে যাতায়াত উৎসাহিত হবে বলে আশা প্রকাশ এবং বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস ২০১৯ এর সার্বিক সফলতা কামনা করেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস-২০১৯ উদযাপন জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে এই কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)’র নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিটিসিএ’র অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক এ এস এম ইলিয়াস শাহ, ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ার মো. নাসির, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, সাংবাদিক নিখিল ভদ্র ও ডাবিøউবিবি ট্রাস্টের কর্মসূচী ব্যবস্থাপক মারুফ হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর ‘সাইকেলে ও হেঁটে চলা নিরাপদ করি’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ৫৯টি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে সকাল ৯টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশেনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। আলোচনা পর্ব ছাড়াও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও নানা ধরণের খেলাধুলাসহ বিভিন্ন আয়োজন থাকবে।

নাগরিকদের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার না করে বরং সাইকেল, হাঁটা বা গণপরিবহন ব্যবহারে উৎসাহিত করতে ৭০’র দশকে ইউরোপে গাড়িমুক্ত দিবসের সূচনা হয়। ২০০৬ সাল থেকে দেশে বেসরকারি উদ্যোগে দিনটি উদযাপন করা হচ্ছে। তবে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে এটি পালন শুরু হয়। এই দিবসের অঙ্গীকার অনুযায়ী ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার সীমিত বা নিয়ন্ত্রিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ