পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির পদত্যাগের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করেছে। এ ঘটনায় ভিসি সমর্থকের হামলায় ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে গোবরা, সোনাকুড়, নবীনবাগ এলাকায় হামলার ঘটনাটি ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ক্যাম্পাস বন্ধের আদেশ জারি করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ১৪৪ ধারা জারি করার জন্য জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ মোতায়নের জন্য পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করা হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভ‚ত জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত রাখাসহ সম্ভাব্য সকল অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের মৌখিক অনুমতির প্রেক্ষিতে আসন্ন পূজার নির্ধারিত ছুটির সাথে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি বর্ধিত করা হয়েছে। চিঠিতে হলের শিক্ষার্থীদের শনিবার সকাল ১০ টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, ভিসি সমর্থকদের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার খবর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়লে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনিক ভবনের সামনে, জয় বাংলা চত্বর, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল ফটকের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ ঘটনায় বিভিন্ন স্থানে র্যাব ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে ।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের আখি, কৃষি বিভাগের ২য় বর্ষের মাসুকুর রহমান, ৩য় বর্ষের শীমান্ত, অর্থনীতি চতুর্থ বর্ষের নাফিস, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২য় বর্ষের ফাহাদ, রসায়ন বিভাগের ৩য় বর্ষের মো. রাকিব হোসেন, আশিকুর রহমান, ফিসারিজ বিভাগের ২য় বর্ষের সৈকত, লোক প্রশাসন বিভাগের ২য় বর্ষের রুদ্র, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের মাসুদ,শাহরিয়ার মিজান, আল-আমিন প্রমুখ।
আন্দোলনরত আহত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, শুক্রবার রাত থেকে হলে খাবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে হলে বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পথে ভিসি সমর্থক বহিরাগতরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নবীনবাগ, সোনাকুড় ও গোবরায় মারপিট করেছে। এতে ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে তারা দাবি করেছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ সকল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দুর্নীতিবাজ, ভর্তি ও নিয়োগ বাণিজ্যকারী ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক টর্চার সেলে পরিণত করেছে। বিএনপি-জামায়াতপন্থি এই ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নিয়ে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। দফায় দফায় ভিসি বিরোধী আন্দোলনকারীদের অবস্থান থেকে সরাতে ধাওয়া দিচ্ছে।
আন্দোলনকারীরা উৎকণ্ঠা উত্তেজনা ও আশঙ্কার মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নিয়ে ভিসি বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানায়। ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শনিবার সকাল ১০ টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এজন্য হলের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসককে ১৪৪ ধারা জারি ও পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ক্যাম্পাসে মোতায়নের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ধাওয়ার বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার বিষয়টি আমার জানা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।