পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে বড় বাধা ‘চাঁদাবাজ চক্র’ বলে দাবি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসরকারি সংগঠন। গতকাল শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়নে বিলম্ব ঃ জনমনে হতাশা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা তুলে ধরা হয়।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, গত বছর নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনাগুলো দিলেন তাও আলোর মুখ দেখেনি। কারণ সড়ক পরিবহন ঘিরে গড়ে ওঠা চাঁদাবাজ চক্র। সংগঠনটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান।
সাইদুর বলেন, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা চাঁদাবাজ-সিন্ডিকেট গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় প্রধান বাধা। ২০১৮ সালে প্রণীত সড়ক পরিবহন আইনে জামিন অযোগ্য ধারা, সাজা ও জরিমানা বৃদ্ধির বিধান থাকায় পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা তা বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছেন।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের আপত্তির কারণে সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। মালিক-শ্রমিকরা কি সরকারের চেয়ে শক্তিশালী? রাষ্ট্রের চেয়ে বড়? তাহলে সরকার তাদের কেন আস্কারা দিচ্ছে? চালকদের অধিকার ও দাবির প্রতি নজর দিতে হবে উল্লেখ করে বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, আইন ও ফাইন দিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো যাবে না। এ জন্য চালকদের অধিকার ও দাবিগুলোর প্রতিও নজর দিতে হবে। চালকদের কোনো কর্মঘণ্টা নেই ও বিশ্রামের ব্যবস্থা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, চালকদের না পাওয়ার হতাশা আছে। প্রতিদিনের গøানি আছে। আইন করতে গিয়ে তাদের যেন প্রতিপক্ষ মনে না করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।