পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুবলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীমের নিকেতনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযানের পর কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এ সময় ক্রীড়াচক্র ক্লাবটির সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজসহ পাঁচজন গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য গ্রেফতাররা হলেন- হাফিজ, হারুন, আনোয়ার ও লিটন। এ সময় ক্লাব থেকে হলুদ রঙের ইয়াবা, বিদেশ পিস্তল, গুলিসহ ক্যাসিনোতে খেলার কয়েন, স্কোরবোর্ড ও তাস উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ক্লাবটি ঘেরাও করা হলেও সন্ধ্যায় র্যাব-২ এর একটি দল এই অভিযান শুরু করে। এদিকে, গতকাল রাতে ধানমন্ডি ক্লাব, কারওয়ান বাজারের মৎসজীবী ক্লাব ও এলিফ্যান্ট রোডের অ্যাজাক্স ক্লাব র্যাব ঘিরে রেখেছে বলে জানা গেছে।
অভিযান শেষে শুক্রবার রাতে র্যাব-২ এর অধিনায়ক আশিক বিল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, অভিযান শুরুর আগে একইদিন দুপুরে ক্লাবের সভাপতি শফিকুল আলমকে ক্লাব থেকে র্যাব-২ এর কার্যালয়ে নেওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে নিয়ে ক্লাবে গিয়ে অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানে ক্রীড়াচক্র ক্লাব থেকে সাত প্যাকেট হলুদ রঙের ইয়াবা, একটা বিদেশ পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, ক্যাসিনোতে খেলার (যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি) কয়েন, স্কোরবোর্ড ও ৫৭২ প্যাকেট তাস উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ক্লাব থেকে উদ্ধার করা ইয়াবা বাংলাদেশে এ যাবৎকালে পাওয়া যায়নি। এ ইয়াবায় কোনো গন্ধ নেই। অভিযানকালে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. গাউসুল আজম উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা ক্লাব থেকে বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করেছি। আমরা বেশ কিছু বিদেশি কয়েন, বিপুল পরিমাণ আমেরিকান তৈরি কার্ড ও বিভিন্ন ধরনের কয়েন উদ্ধার করেছি। যা দিয়ে জুয়া খেলা হয়ে থাকে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে ক্যাসিনোর যে মূল সামগ্রি- তা পাওয়া যায়নি। কিন্তু ক্যাসিনো খেলার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি পাওয়া গেছে। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে- এখানে ক্যাসিনো পরিচালিত হত। বুধবারে অ্যান্যন্য জায়গায় অভিযানের পর হয়তো সেগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ক্যাসিনোর সরঞ্জামাদি ছাড়াও একটি লাইসেন্সবিহীন বিদেশি পিস্তল ও গুলি জব্দ করা হয়েছে।
মামলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু করা হবে। নিয়মিত মামলার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করা হবে।
ক্লাবের সাধারণ সদস্য আজিজ উদ্দিন আহম্মেদ নান্নু সাংবাদিকদের বলেন, জুমার নামাজের জন্য সবাই যখন বের হবে তখন কয়েকজন র্যাব সদস্য এসে সভাপতিকে আটক করে। এসময় তাকে বলা হয় আপনাকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আপনাকে আমাদের সঙ্গে যেতে হবে। পরে র্যাবের একটি গাড়িতে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। নান্নু আরও বলেন, এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন শফিকুল। তিনি কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য।
অভিযান শেষে ৮ টা ১৫ মিনিটে ফিরোজকে ক্লাব থেকে বের করে নিয়ে র্যাবের গাড়িতে তোলা হয়। এর আগে শফিকুল আলম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, আমি কোনো অপরাধ করিনি। কেন ধরা হল জানি না। উপরের কোনো নির্দেশ ছিল কিনা তাও জানি না। আমাকে আটক দেখানো হয়েছে। আমার কথা বলা নিষেধ।
ক্যাসিনো’র সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা জানতে চাইলে ফিরোজ বলেন, আমি কোনো সময় এসব খেলার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমার অফিস থেকে শুধু তাস পেয়েছে। পরে দেখি কিছু ইয়াবা। আমি এসবের সঙ্গে জড়িত না।
র্যাব-২ এর একটি সূত্র জানায়, সন্ধ্যা ৭টা ১৯ মিনিটে অভিযান শুরু করা হয়। এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে ক্লাবটির সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় র্যাব। একইসঙ্গে র্যাবের অপর একটি দল ক্লাবটি ঘিরে রাখে।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক আশিক বিল্লাল বলেন, রাজধানীতে অবৈধ ক্যাসিনো, জুয়ার আড্ডা ও বারের বিরুদ্ধে যে অভিযান চালানো হচ্ছে, তারই ধারাবাহিকতায় কলাবাগান ক্লাবে অভিযানটি চালানো হয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।