Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে ল্যাপটপসহ ইসির আরো এক কর্মী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেয়ার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের আরও এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার মোস্তফা ফারুক (৩৬) নির্বাচন কমিশনের প্রকল্পের অস্থায়ী (আউটসোর্সিং) কর্মচারী। পরে তার হামজার বাগের বাসা থেকে চুরি যাওয়া দুইটি ল্যাপটপ, মডেম, পেনড্রাইভ, এনআইডি কার্ডের লেমিনেটিং সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

এ সংক্রান্ত মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট বৃহস্পতিবার তাকে আটক করে। গতকাল শুক্রবার তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। মোস্তফা ফারুক ফেনী সদর উপজেলার দমদমা গ্রামের মো. ইলিয়াছের ছেলে।

সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, আগে গ্রেফতার নির্বাচন কমিশনের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিনের কাছ থেকে রিমান্ডে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মোস্তফা ফারুককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়।

তার কাছ থেকে ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তফা ফারুক জানিয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে নির্বাচন কমিশনের প্রকল্পে কাজ করার সুবাধে কমিশনের বিভিন্ন অফিসে তার যাতায়াত ছিল। ক্যাম্প থেকে কয়েকটা ধাপে রোহিঙ্গাদের আনা হতো। নির্বাচন অফিসের ক্লারিক্যাল লেবেলের অস্থায়ীদেরকে রোহিঙ্গাদের ভোটার করার কাজে ব্যবহার করা হতো।

মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, মোস্তফা ফারুকের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ডেল মডেলের ল্যাপটপ নির্বাচন কমিশনের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট শনাক্ত করেছেন, যা নির্বাচন কমিশনের ল্যাপটপ। তবে ল্যাপটপের তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে। অপরাধীরা তথ্য মুছে ফেলে যাতে ধরা না পড়ে। তবে পেনড্রাইভে রোহিঙ্গাদের অনেক তথ্য পেয়েছি। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মোস্তফা ফারুক চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০১৯’ এ যুক্ত আছেন। ভুয়া তথ্য দেওয়া ব্যক্তিকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির অভিযোগে ২০১৬ সালে মোস্তফা ফারুককে বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু তিন বছরের মাথায় আবারও একই দায়িত্ব দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

অফিস থেকে খোয়া যাওয়া নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্স করা ল্যাপটপ ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং এনআইডি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে জয়নালসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় খোয়া যাওয়া একটি ল্যাপটও। এরপর রাতেই কোতোয়ালী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদি হয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ও ডিজিটাল আইনে মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় জয়নালকে তিনদিন এবং বাকি দুজনকে একদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি পায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ