Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্যাসিনোর দায় ক্লাবের গভর্নিং কমিটির হতে পারে না

সময় টিভিকে সাক্ষাৎকারে রাশেদ খান মেনন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ক্যাসিনো’ এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। অবৈধভাবে ‘ক্যাসিনো’ বন্ধে ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে রাজধানীর ফকিরাপুলে ইয়ংমেন্স ক্লাবে অভিযান চালিয়ে নারী-পুরুষসহ ১৪২ জনকে গ্রেফতার করে কারাদন্ড দেয়া হয়। এছাড়াও বিপুল পরিমাণ টাকাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। পরে ক্লাবের সভাপতি যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে তার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ‘ক্যাসিনো’ চালানো ইয়ংমেন্স ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান স্থানীয় সংসদ সদস্য (ঢাকা-৮) ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। মসজিদের শহর ঢাকায় বছরের পর বছর ধরে জুয়া নামের ‘ক্যাসিনো’ খেলা নিয়ে যখন তোলপাড়; তখন ১৯ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোকান্ড নিয়ে সময় টিভি রাশেদ খান মেননের সাক্ষাৎকার প্রচার করে। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ইয়ংমেন্স ইট’স এ ক্লাব। এরা প্রিমিয়ার লিগে ফুটবল খেলেছে। এখন কিছু লোক এটাকে ক্যাসিনো বানিয়েছে। এই দায়-দায়িত্ব তো গভর্নিং কমিটির হতে পারে না। আপনারা (সাংবাদিক) চান ক্যাসিনোতে পুশিলি অভিযানের পর একটা স্টোরি বানাতে। যে স্টোরিটা লোকে খাবে। আমি তো সেই স্টোরির মধ্যে যেতে রাজি না। সাংবাদিক আজহার লিমন নেয়া ‘সময় টিভি’র সেই সাক্ষাৎকার ইনকিলাব পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।
প্রশ্ন : রাজধানীতে বেশ কিছু ক্যাসিনোর খোঁজ পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তার মধ্যে একটা আছে ইয়ংমেন্স ক্লাব?
রাশেদ খান মেনন: আমার তো প্রশ্ন, রাজধানীতে র‌্যাবের অভিযান চালানোর পরে আপনারা ক্যাসিনোর খোঁজ পেলেন। মিডিয়ায় এত অনুসন্ধানী সংবাদ হয়, ক্যাসিনোর খোঁজ পাইনি কেন। প্রশ্ন তো এইখানে। আমি তো উল্টা প্রশ্ন করবো যে, কেন তারা এতদিন ধরে এই সংবাদটা পায়নি। আজকে কেন হঠাৎ করে র‌্যাবের অভিযানের পরে পেল। এটা হলো আসলে আমরা রিয়্যাক্ট করি, কখনো কোনো কিছু নিয়ে অ্যাক্ট করি না। এটা হচ্ছে তার প্রমাণ।
প্রশ্ন : আমরা একটা ছবি দেখলাম, আপনি ক্লাবের উদ্বোধন করছেন। আপনি এই ক্লাবের চেয়ারম্যান?
রাশেদ খান মেনন: এই ক্লাবের একটা গভর্নিং বডি আছে। আমি তার চেয়ারম্যান। আমিই করেছি (ক্লাবের উদ্বোধন)। আমি কি অস্বীকার করছি? এটা ২০১৬ সালের ১৯ জুন করেছি।
প্রশ্ন : কি হিসেবে এটা উদ্বোধন করেছেন?
রাশেদ খান মেনন: এটা তো ফুটবল ক্লাব, ক্রিকেট ক্লাব। এরা প্রিমিয়ার লিগে খেলে। এরা প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ওয়ান্ডারার্স আছে, ভিক্টোরিয়া ক্রিকেট ক্লাব আছে। আছে না?
প্রশ্ন : ওয়ান্ডারার্স ক্লাবেও অভিযান চালিয়েছে?
রাশেদ খান মেনন: এখন, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব তো আজকের ক্লাব না। এটা ফুটবল ক্লাব।
প্রশ্ন : আপনি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় একটা ক্লাবে এরকম?
রাশেদ খান মেনন: আমি কোনো দায়িত্বে নেই। আমি কখনো কোনো দায়িত্বে ছিলাম না, এখনো নেই।
প্রশ্ন : আপনি জানতেন না যে, এখানে ক্যাসিনো চলছে?
রাশেদ খান মেনন: আমার তো জানার কথা না। আমি যেদিন ওপেন করেছি শুধু সেদিন গেছি। তারপর আর কোনোদিন যায়নি সেখানে। যাওয়ার কোনো স্কোপই নাই। কারণ, খেলার ব্যাপারে আমার সময় দেয়ার অতটা অবকাশ ছিল না।
প্রশ্ন : আপনার একটা ছবি টাঙানো আছে?
রাশেদ খান মেনন: অসুবিধা কি তাতে। ওখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙ্গানো আছে, শেখ হাসিনার ছবি আছে। অসুবিধা কি আছে?
প্রশ্ন : হ্যাঁ, কিন্তু এর পাশেই এমন একটা কাজ চলছে?
রাশেদ খান মেনন: ওখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি আছে, শেখ হাসিনার ছবি আছে। তা এখন সেটা কি করা যাবে?
প্রশ্ন : এখন আপনি কি পদক্ষেপ নিবেন?
রাশেদ খান মেনন: কোন ব্যাপারে?
প্রশ্ন : ক্লাবের গভর্নিং বডি থেকে পদত্যাগ করবেন?
রাশেদ খান মেনন: ওই গভর্নিং কমিটি আছে কিনা তাই তো আমি জানি না। ওটা যে কি আছে সেটাই তো আমি জানি না। এটা হলো তারা যেদিন নতুন কমিটি করলো সেই কমিটি পর্যন্তই, ব্যাস শেষ। আর তো কিছু নেই।
প্রশ্ন : এখানে আপনি কি নিজের কোনো দুর্বলতা দেখছেন?
রাশেদ খান মেনন: নাহ।
প্রশ্ন : আমি এই কারণে বলছি যে, একটা ক্লাবকে জুয়ার আসর বানানো হয়েছে। আপনি সেই ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান। আপনার কি কোনো অনুশোচনা বা কোনো?
রাশেদ খান মেনন: আমার অনুশোচনা হবে কেন? ইট ইজ নট মাই ডিউটি। ইট ইজ ডিউটি অব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা দেখবে ওখানে কি হচ্ছে।
প্রশ্ন : আপনাকে তো একটা পোস্ট দিয়ে রেখেছে। আপনার নাম ভাঙিয়ে খাচ্ছে?
রাশেদ খান মেনন: আমার নাম তারা কোনো দিন ভাঙায়নি। আমি তো দেখিনি এ পর্যন্ত। আমার নাম ভাঙাবে কেন? এগুলো হচ্ছে আপনারা আমার গায়ে কিছু কালির ছিটা ফেলার জন্য করছেন।
প্রশ্ন : এই বিষয়ে তো এরই মধ্যে নিউজ হয়েছে।
রাশেদ খান মেনন: আমার তাতে কিচ্ছু আসে যায় না। কোথায় নিউজ হয়েছে তাতে আমার কিছু আসে যায় না। কারণ, আমাদের এই সমাজে বাস করতে হয়, এই ঘরের মধ্যে বাস করতে হয়। এখানে নানা ঘটনা ঘটে। আমি যেহেতু এখানে এমপি, সেই এমপি হিসেবে আমাকে বহু কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে হয়, আমার সঙ্গে বহু লোকের ছবি আছে। সম্রাটের ছবি আছে আমার সাথে, খালেদের ছবি আছে, অন্যদের ছবি আছে। নেই? নির্বাচনের সময় তো সম্রাট মিছিলে আমার সাথে ছিল।
প্রশ্ন : এমপি হিসেবেও তো আপনার একটা দায়িত্ব আছে, কোথায় কি চলছে এগুলোর খোঁজ খবর নেয়া?
রাশেদ খান মেনন: না না।
প্রশ্ন : শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ছেড়ে দিবেন?
রাশেদ খান মেনন: এমপি হিসেবে কি দায়িত্ব আমার! আমার কাছে এখন পর্যন্ত কেউ এসে কি বলেছে যে, এই জায়গায় এটা হচ্ছে। সুতরাং আপনি এটাতে হস্তক্ষেপ করেন। কেউ তো বলেনি আমাকে আজ পর্যন্ত। আমি তো ওই এলাকায় বহুবার যাচ্ছি। আজ পর্যন্ত এলাকার কেউ একজন আমাকে বলেনি।
প্রশ্ন : যেহেতু আপনি এখনো ক্লাবটির চেয়ারম্যান পদে আছেন। সেখান থেকে পদত্যাগ করবেন কি না?
রাশেদ খান মেনন: প্রথম কথা হলো, ইট’স এ ক্লাব। এরা প্রিমিয়ার লিগে ফুটবল খেলেছে। এখন কিছু লোক এটাকে ক্যাসিনো বানিয়েছে। এই দায়-দায়িত্ব তো গভর্নিং কমিটির হতে পারে না। আর আমি তো, বললাম তো যে, ওটা আসলে একটা উপদেষ্টামন্ডলী।
প্রশ্ন : উপদেষ্টা মন্ডলীর কাজ কী?
রাশেদ খান মেনন: কোনো কাজই নেই। এগুলো হচ্ছে, যখন একটা কমিটি হয় তখন একটা নাম দিয়ে দিলো।
প্রশ্ন : তাহলে এই ব্যাপারে আপনার কোনো রিয়্যাকশন থাকবে না?
রাশেদ খান মেনন: ভালো হয়েছে। ওটা বন্ধ করে দিক। অলরেডি বন্ধ করে দিয়েছে। আই অ্যাম হ্যাপি, এলাকার লোক হ্যাপি।
প্রশ্ন : আশপাশে আরো কিছু ক্যাসিনোর কথা শোনা যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বলছে। এগুলোর ব্যাপারে আপনার?
রাশেদ খান মেনন: আমার সংসদীয় এলাকায় তো ডাকাত আছে, খুনি আছে, সন্ত্রাসী আছে। এখন তার দায় দায়িত্ব কি আমাকে নিতে হবে! এটা তো এমপির দায়িত্ব না।
প্রশ্ন : এখানে কি এমপির কোনো দায়িত্ব নেই?
রাশেদ খান মেনন: কি করবে? সে কি খুনি খুঁজে বেড়াবে?
প্রশ্ন : কিন্তু যারা খুনি খোঁজার কাজ করে তাদের নির্দেশনা দিবেন না?
রাশেদ খান মেনন: আমি সেই কথাটাই তো বললাম। এটা হলো মতিঝিল থানার একেবারেই পাশে। এটা তারা দেখবে না?
প্রশ্ন : তার মানে এখন আর আপনার পদত্যাগ করার দরকার নেই?
রাশেদ খান মেনন: আমি তো সেখানে এক্সজিস্টই করছি না। স্বাভাবিকভাবে আমার পদত্যাগ করার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমার আর কোনো সম্পর্ক ওখানে থাকবে না। আমি এটাকে ফুটবল ক্লাব হিসেবে জানি। এখানকার সাধারণ সম্পাদক হাজি সাব্বির, তিনি মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, তিনি এই ক্লাবের হয়ে বিদেশে টিম নিয়ে গেছে। আমরা তো সেভাবেই দেখেছি। এখন আমার এই অফিসের মধ্যে যদি কেউ আমাদের অজান্তে কেউ একটা ঘটনা ঘটায় সেটার দায় দায়িত্ব কি আমাকে নিতে হবে?
প্রশ্ন : আপনি যদি কোনো অফিসের হেড থাকেন বা দায়িত্বে থাকেন?
রাশেদ খান মেনন: আমি তো ওখানকার হেড না।
প্রশ্ন : যাই হোক, আপনি গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান, আপনি বলছেন, উপদেষ্টামন্ডলী। সেখানে কি আপনার কোনোই দায়িত্ব থাকবে না? এমন একটা সম্মানিত পোস্টে আছেন। ক্লাবে কি হচ্ছে তা আপনার জানার কথা না?
রাশেদ খান মেনন: আমি তো বার বার বলছি, আমি একটা ফুটবল ক্লাব, ক্রিকেট ক্লাবের সাথে যুক্ত ছিলাম। এরকম ক্রিকেট ক্লাব মোহামেডান আছে, ওয়ান্ডারার্স আছে, ভিক্টোরিয়া আছে। তাদের সবগুলোই তো এখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। এখন ওর সাথে যারা যুক্ত সবাই দায়ী হয়ে গেলো? মোহামেডানের সাথে তো বহু নামি-দামি লোক আছে। আপনারা মূল কথা ছেড়ে দিয়ে, ইউ আর ট্রাইং টু।
প্রশ্ন : আমরা কি ভুল কিছু জানতে চাচ্ছি?
রাশেদ খান মেনন: হ্যাঁ।
প্রশ্ন : আপনি তো এই এলাকার গার্ডিয়ান?

রাশেদ খান মেনন: হ্যাঁ।
প্রশ্ন : তাহলে আমাদের প্রশ্নটা ভুল কেনো?
রাশেদ খান মেনন: আপনারা তো চেষ্টা করছেন এটাকে একটা স্টোরি বানাতে। যে স্টোরিটা লোকে খাবে। আমি তো সেই স্টোরির মধ্যে যেতে রাজি না। আমি তো খোলাখুলি কথা বলছি। কিছু তো লুকচ্ছি না। আপনি আমাকে জাজমেন্ট করছেন। সেই জাজমেন্ট তো আমি নেবো না। আমাকে অন্য কেউ জাজমেন্ট করুক। ইউ ক্যান নট জাজ মি।
প্রশ্ন : না না। আমি আপনাকে জাজ করছি না। জাজ করার জন্য মানুষ আছে?
রাশেদ খান মেনন: শোনেন, কারো ব্যাপারে মতামত দেয়া আপনার দায়িত্ব না। আপনার দায়িত্ব হলো ঘটনাটা বলা। এর বাইরে কিছু না। ইউ আর জাজিং।

প্রশ্ন : আপনার কি মনে হচ্ছে, আমি আপনাকে জাজ করছি?
রাশেদ খান মেনন: অবশ্যই করছেন।
প্রশ্ন : আমি তো আপনাকে কিছু প্রশ্ন করেছি যে, এটা আপনার দায়িত্ব কিনা?
রাশেদ খান মেনন: আপনি যে প্রশ্ন করেছেন সেটার উত্তর আমি দিয়েছি। এখন আপনি জাজিং। দেখেন আপনি আপনার টেলিভিশনে, আমার কিচ্ছু আসে যায় না।
প্রশ্ন : আচ্ছা, যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে তারা সংসদ নির্বাচনের সময় আপনার সাথে কাজ করেছে। আমরাও দেখেছি যে, অনেকেরই আপনার সাথে ছবি আছে। তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে সে ব্যাপারে আপনি কি বলবেন?
রাশেদ খান মেনন: নিক। সরকার ব্যবস্থা নিক। নেয়া তো উচিৎ। নেয়নি এতদিন পর্যন্ত, সেটাই তো তাদের ত্রুটি।
প্রশ্ন : আপনার শুটি নেই? আপনিও তো ব্যবস্থা নিতে বলেননি?
রাশেদ খান মেনন: আমি কেন সুপারিশ করতে যাবো। আমি আবার বলছি, ইউ আর ট্রাইং টু জাজ মি। ইউ আর জাস্ট ক্রসিং ইয়োর লিমিট। আপনার সম্পাদককে আমি ফোন করে বলবো যে, আপনি আমাকে জাজ করার চেষ্টা করছেন। আপনি যান। আমি যা বলেছি, সব দিয়ে দেন। আমার কিচ্ছু আসে যায় না।
প্রশ্ন : আমি আপনাকে জাজ কেন করবো। আমি শুধু আপনাকে কিছু প্রশ্ন করেছি।
রাশেদ খান মেনন: আপনি আমাকে প্রশ্ন করেছেন। আমি উত্তর দিয়েছি। এখন আপনি আমাকে জাজ করছেন।
প্রশ্ন : আমি কোনোভাবেই আপনাকে জাজ করতে চাই না?
রাশেদ খান মেনন: শোনেন শোনেন, ইয়ংম্যান। ডোন্ট ট্রাই টু বি ভেরি ক্লেভার।
প্রশ্ন : আমি যদি আপনাকে প্রশ্ন করি যে এটা কি আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে কি না সেটা কি জাজ করা হলো? আমার বলা একটা শব্দ বলেন যেখানে আমি আপনাকে জাজ করেছি।

রাশেদ খান মেনন: আপনি বললেনই তো যে, আপনি এই এলাকার এমপি। আপনি এই দায়িত্ব নেবেন না তা কেমন হয়?
প্রশ্ন : কেমন হয় সেটা আমি বলিনি। আমাদের ক্যামেরায় সব রেকর্ড আছে।
রাশেদ খান মেনন: সব রেকর্ড আছে। আমিও তো বসে বসে শুনতেছি।
প্রশ্ন : আচ্ছা, সার্বিকভাবে যদি জিজ্ঞাসা করি, আপনি দেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা, দেশে যে ক্যাসিনোর একটা প্রবণতা শুরু হয়েছে সেটা সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ কিনা। আপনার ব্যক্তিগত মত যদি জানতে চাই যে, আসলে কি করা উচিৎ?

রাশেদ খান মেনন: এই সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে আমাদের পার্টি সবচেয়ে বেশি সোচ্চার। এই দুর্নীতি, সামাজিক অবক্ষয়, অনাচার, লুট, দখল, খুন, আমাদের পার্টির লাস্ট রেজুলেশন ভালো করে পড়েন। ওইটাকে এখন আপনারা বাইপাস করার জন্য এই কথাগুলো আনছেন। আমি তো বুঝি এগুলো। আমরা পলিটিক্স করা লোক। বুচ্ছেন? আমরা পলিটিক্স করা লোক।

প্রশ্ন : আমার ইন্টারভিউ শেষ।
রাশেদ খান মেনন: হ্যাঁ। ইন্টারভিউ কেনো, আপনি যা ইচ্ছা করেন। শোনেন, আপনি আমার নাতির বয়সী। আপনি আমাকে জাজ করার চেষ্টা করছেন। আমি কিছুই বলিনি আপনাকে। আমি খুব ভদ্রভাবে কথা বলেছি।



 

Show all comments
  • Rubel Ahmed ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
    তাহলে কার দায় তাদের নাম পরিচয় জাতির কাছে প্রকাশ করুনঃ
    Total Reply(0) Reply
  • Yashir Arafat ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
    শেখ মুজিব হত্যার জন্য দেশের মধ্যে যে অরাজগতা সৃস্টি করা হয়েছিলো, তার প্রধান কুশিলব হচ্ছে "মেনন"।
    Total Reply(0) Reply
  • Aminul Haque Ripon ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
    মেনন সাহেব সভাপতি উনি যদি দায়ের ভাগ না নেন তাহলে কে নেবে?
    Total Reply(0) Reply
  • Md Hasan ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
    আমিও একমত। গভর্নিংবডির সদস্যরা শুধু ভাগ নিতে পারে। দায় কেন নিবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Kurban Ali ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
    আপনারা যা বলবেন ওটাই আইন দেশে আইন বলতে কিছুই নেই
    Total Reply(0) Reply
  • Anwar Hossain ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
    ভাগ বাটোয়ারা সবাই নিয়মিত নিয়েছে, এখন দায় নিতে চাচ্ছে না কেহ। এইটার একটাই ঔষধ রিমান্ডে নিলে সব বেড়িয়ে আসবে।
    Total Reply(1) Reply
    • Yourchoice51 ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৮:৩৮ এএম says : 4
      আরে রিমান্ডে যে নেবে, সেইতো টুপাইস নিয়ে অন্যরকম রিপোর্ট দেবে। নেতাজির বয়োসটা দেখছেননা; সবুর করুন, মহান সৃষ্টিকর্তার রিমান্ড বেশি দূরে নেই; ওখানে নিশ্চিতভাবে সব ফায়সালা হয়ে যাবে।
  • Miah Muhammad Adel ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:১৬ এএম says : 0
    গভার্নিং বডির দায়িত্ব নয়, তো গভার্নিং বডি কেন রয়েছে? পদমর্যাদা পেতে লোভ লাগে, তো পদাসীনের দায়িত্ব পালনে ভাল লাগে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Rabiul Alam Liton ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:১৪ এএম says : 0
    মেনন সাহেব এখানে দায় এড়াতে পারেন না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ