থানায় জনসাধারণের ভোগান্তি এড়াতে ডিসি, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) এবং সহকারী কমিশনারদের (এসি) সার্বক্ষণিক থানা মনিটরিংয়ের নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপির নব-নিযুক্ত কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জোনের উপ-কমিশনারদের (ডিসি) সপ্তাহে অন্তত ২-৩ ঘণ্টা থানায় অবস্থান করে থানার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে বলেছেন ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনারের পাঠানো এক চিঠিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এমন নির্দেশনা দেয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায়, নিরীহ অসহায় জনসাধারণের একটা বিরাট অংশ থানায় তার প্রাপ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমলযোগ্য অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগ আমলে না নেয়া এবং অনাকাঙ্খিত কালক্ষেপণ করা হয়। ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণসহ অনেক সময় অযথা হয়রানিমূলক আচরণের মাধ্যমে তাদেরকে প্রাপ্য আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগও পাওয়া যায়। তাই থানায় সেবার মান বাড়াতে ও সেবাপ্রত্যাশীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সে ব্যাপারে ওসিরা কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন। পাশপাশি জোনাল এসি ও এডিসিরা সার্বক্ষণিক থানার কার্যক্রম মনিটরিং করবেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট জোনের ডিসিরা তার আওতাভুক্ত প্রতিটি থানায় প্রতি সপ্তাহে অবস্থানের জন্য পরিকল্পনা করবেন। সেই অনুযায়ী থানায় কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা অবস্থান করে থানার বাস্তব কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। সেবাপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে সরাসরি আইন অনুযায়ী সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা করবেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, থানায় পুলিশ সদস্যদের আচরণগত কাঙ্খিত পরিবর্তন না হলে আমি নিজে থানায় গিয়ে ওসিগিরি করবো। সিনিয়র অফিসারদের থানায় বসিয়ে দেব। ডিসিদের সপ্তাহে অন্তত একদিন থানায় বসিয়ে দেব। তারা থানায় বসে ওসিগিরি করবেন।