পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো থেকে বড় বড় কোম্পানীগুলো ঋণ নিয়ে আর দিচ্ছে না। ফলে ক্রমেই বাড়ছে খেলাপি ঋণের বোঝা। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণে নতুন ঋণের ক্ষেত্রে কোম্পানীর চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের জবাবদিহিতার আওতায় আন হচ্ছে। তিনি বলেছেন, খেলাপি বন্ধ করতে ব্যাংকিং আইনে কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসব। এক্ষেত্রে নতুন ঋণগ্রহীতা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের পারসোনাল গ্যারান্টি নেয়া হবে। ঋণ নিয়ে পরিশোধে ফেল করলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের বিরুদ্ধেও অ্যাকশন নিতে আইনের প্রক্রিয়াগত কোন ত্রুটি বি”্যূতি থাকলে তা সংশোধন করা হবে। একই সঙ্গে ঋণখেলাপির জন্য দোষী ব্যক্তিদের (গ্রাহক, ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী) শাস্তির বিধান করা হবে, যেখানে বিদ্যমান আইনে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা যাবে না, সেখানে পরিবর্তন কিংবা নতুন আইন করা হবে। এভাবে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে দেশে ঋণখেলাপির পরিমাণ আর বাড়বে না।
গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে সভা শেষে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংকের সমস্ত গ্যারান্টি আইনি প্রক্রিয়া আরো শক্তিশালী করা হবে। এর মাধ্যমে কেউ যদি ঋণ পরিশোধে ফেল করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে পারব। কেউ দায় এড়াতে পারবে না। বিদ্যমান আইনের মধ্যেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। ১০ অক্টোবর আদালতের একটি রায় আসবে। এরপর গৃহীত উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে পারলে খেলাপি ঋণ বাড়বে না বলে তিনি আশা করেন।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে আমরা কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি। যাতে করে ব্যাংকের রেভিনিউ বৃদ্ধি পায়। দিন শেষে আমাদের রেভিনিউ প্রফিট যেন বৃদ্ধি পায় এটা প্রধান উদ্দেশ্য। কারণ এই চারটি ব্যাংক অর্থনীতির বিশাল এলাকা কাভার করে থাকে। যেখানে ব্যাংকের একাধিক শাখা আছে সেগুলো স্থানান্তর করা হবে, যাতে করে একজনের কাস্টমার যাতে আরেক জন নিতে না পারে। আমরা ব্যাংকে হেলদি কমপিটিশন দেখতে চাই। তিন মাস পর পর চারটি ব্যাংক নিয়ে সভা করা হবে। আমাদের মূল্যায়ন আমরাই করবো। আমাদের বিরুদ্ধে আগে যা দেখেছেন সেগুলো দেখতে পাবেন না। আমরা চারটি ব্যাংকের প্রিন্টিং স্টেটমেন্ট কোয়ার্টালি দেবো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মূলতঃ আইনি প্রক্রিয়ার দুর্বলতার কারণেই খেলাপি ঋণ বেড়েছিল। আর ঋণখেলাপির পরিমাণ বাড়বে না। এ সময় এক সংবাদকর্মী জানতে চান, সভায় কী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার জন্য আর খেলাপি ঋণ বাড়বে না বলে মনে করছেন আপনি? জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আগে যে খেলাপি ঋণ হয়েছে, যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের আমরা শাস্তির বিধানের মধ্যে নিয়ে আসব। গ্রাহক দায়ী থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নেব। সুতরাং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা যদি নেয়া যায়, দেশের বিদ্যমান আইনেই নেয়া যায়, তাহলে খেলাপি ঋণ আর বাড়বে না। যেখানে নেয়া যাবে না, সেখানে আমরা আইনের পরিবর্তন আনব। ‘আইনের পরিবর্তন যখন আসবে, তখন কারও পক্ষেই এই দায় এড়ানো সম্ভব হবে না। এর থেকে রক্ষা পাবে না, নিষ্কৃতি পাবে না’,- যোগ করেন অর্থমন্ত্রী।
খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি শেষে দেশ, ব্যাংক ও অর্থনীতিকে মুক্তি দিতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে জানিয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, খেলাপি ঋণের জন্য দেশে কোন দু’রকম আইন থাকবে না। একটি আইনেই সবকিছু থাকবে। কে কত ঋণ পাবে, ব্যাংক ও ব্যাংকারদের দায়বদ্ধতা এবং ঋণগ্রহীতা কোম্পানীর জবাবদিহিতা ওই আইনে স্পষ্ট থাকবে। ভাল ঋণ গ্রহিতারা ঋণ পাবে, মন্দরা পাবে না।
বিদ্যমান আইনের কোথায় কোথায় ঘাটতি আছে, তা বলা উচিত হবে না মন্তব্য করে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এগুলো সংশোধন করতে পারলে আমাদের ঋণ গ্রহীতারা উপকার পাবেন, আমরা উপকার পাব। আমরা নিজেরাও দেখি, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই বিষয়গুলো থেকে যাতে দেশ মুক্তি পায়, ব্যাংকিং খাত মুক্তি পায়, সেই কাজটি আমরা করে যাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।