Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের লঘুদন্ড প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পিডি বানাতে দৌঁড়ঝাপ!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

দুর্নীতির অভিযোগে মন্ত্রণালয়ের তিরষ্কার (লঘুদন্ড) প্রাপ্ত মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো. আজিজুল ইসলামকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেটেরিনারী পাবলিক হেলথ সার্ভিস জোরদার করণ প্রকল্পে পিডির দায়িত্ব দিতে আবারও দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়েছে। এর আগেও সাবেক সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারী কলেজ স্থাপন প্রকল্পের দরপত্রে দুর্নীতি অভিযোগে তিনি তিরষ্কৃত হয়েছিলেন। তার পর ও নতুন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হচ্ছেন!।
বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আশরাফ আলী খান ইনকিলাবকে বলেন, আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত তৎকালীন অভিযোগ সঠিক না। বিগত দিনে যেসব প্রজেক্ট পরিচালনা হয়েছে সেটি কমিটির মাধ্যমে দিতে হয়। টেন্ডার কমিটির সিদ্ধান্তে কাজ দিতে হয়। তার একক কোন কিছুই করার নেই। মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিবাজ হলে আজিজুল ইসলামে চাকরি থাকে কিভাবে। এসব উল্টাপাল্টা অনেক কাগজ আছে। এগুলো সঠিক না।
এ দিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর মহাপরিচালক ডাঃ হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রয়েছে। মামলার শাস্তি ভোগ করেছেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের অতিরিক্ত ভেটেরিনারী অফিসার ডা. মো. আজিজুল ইসলাম ২০১৬ সালে সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেনারী কলেজ স্থাপন প্রকল্পের আওতায় দরপত্রের প্যাকেজ নং (ডবিøউডি-৯) এ মো. কুতুব উল আজিম, প্রো-প্রাইটর, মেসার্স আজিম এন্ড এসোসিয়েট নামক প্রতিষ্ঠান দরপত্রের অংশগ্রহণ করে ১ কোটি ১১ লাখ টাকার দরপত্র প্রস্তাব করেন। সর্বনি¤œ দরদাতা হওয়া স্বত্বেও তাকে নন- রেসপনসিভ দেখিয়ে মেসার্স মজিদ ট্রের্ডাস নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে নগদ ১১ লাখ টাকায় বিনিময়ে দেয়া হয়। কিন্তু দরপত্র যাচাই-বাছাই না করেই আজিজ প্রোপ্রাইটরকে নন- রেসপনসিভ করে। তার চেয়ে ৮ লাখ টাকা বেশি দরে কাজটি অন্য প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে ছিলেন।
তিনি এখান থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ তখন উঠেছিল। তখন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে তার নামে একটি মামলা করা হয়। মামলা নং ১১/২০১৬। এছাড়া একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্টে দুর্নীতির বিষয় উঠে আসে। বিধি অনুযায়ী তাকে ১৯৮৫ এর ৪(২) অনুযায়ী তিরস্কার সূচক লঘুদন্ড দেয়া হয়েছিল। শাস্তিকে ক্ষমা করতে প্রেসিডেন্টের দারস্থ হন সেই দুর্নীতিবাজ ডা. মো. আজিজুল ইসলাম। ক্ষমা মওকুফ চেয়ে আবেদন করেন তিনি। কিন্তু ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট শাস্তি মওকুফ না করে তার আবেদনটি না মঞ্জুর করেন।
সেই আলোচিত দুর্নীতিবাজের অভিযোগে তিরষ্কার প্রাপ্ত পিডিকে আবারও একই মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ সার্ভিস জোরদার করণ প্রকল্পে পিডি হিসাবে নিয়োগ দিতে জোর তদবির চালাচ্ছেন।
এ বিষয়ে আজিজুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, সরকার মনে করছে আমি প্রজেক্ট পরিচালনা করি। এতে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে। সেজন্য আমাকে সতর্ক অবিহিতকরণ করছে। সে কারণে আমার অভিভাবক হয়েছেন প্রেসিডেন্ট। এজন্য আমি বলছি ভবিষ্যতে কোন ধরণের ভূল হবে না। এবিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ