পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) পাঁচটি অঞ্চলে ১০২ সড়কে অবৈধ স্থাপনা শনাক্ত করেছে নগর কর্তৃপক্ষ। ২২ সেপ্টেম্বর ডিএনসিসির অঞ্চল-১ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযানে নামবে সংস্থাটি। পরে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য অঞ্চলেও এই অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, সড়ক ও ফুটপাত দখল করে কোনো ধরনের বাণিজ্য করতে দেয়া হবে না। পথচারীদের জিম্মি করে দখল বাণিজ্য সহ্য করা হবে না। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সড়ক ও ফুটপাত দখল করে যারা নির্মাণসামগ্রী রাখে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও ডিএনসিসি যৌথভাবে অভিযানে নামবে। ফুটপাত পথচারীদের আর রাস্তা গাড়ির জন্য। তাই ফুটপাতে কোনো ধরনের স্থাপনা থাকতে পারবে না। তিনি বলেন, রাস্তা নিয়ে কেউ বাণিজ্য করবেন না। দুঃখের বিষয়, আমরা উচ্ছেদ করলে আবার দখল হয়ে যায়। এজন্য কাউন্সিলররা দেন পুলিশের দোষ আর পুলিশ দেয় কাউন্সিলরের দোষ। এটাই বাস্তব সত্য কথা। তাই ডিএমপি কমিশনার আর আমি যদি এক থাকি, তাহলে কেউ ফুটপাত দখল করতে পারবে না। মেয়র বলেন, দয়া করে কেউ বেøইম গেম দিবেন না। ফুটপাত আর রাস্তা নিয়ে অনেকে বাণিজ্য করছেন। এটা নিয়ে আর কেউ বাণিজ্য করবেন না। ফুটপাতে অনেকে রাজনৈতিক অফিস বানিয়েছেন, দোকান, অফিস, হোটেল নির্মাণ করা হয়েছে। যারা এগুলো করেছেন, তারা নিজেরাই সরিয়ে ফেলুন। ফুটপাত পথচারীদের আর রাস্তা হচ্ছে গাড়ির জন্য। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, এ ফুটপাত দখল করছি আমরা, আর পথচারীরা ফুটপাতে না হেঁটে রাস্তায় হাঁটছেন। যে কারণে যানজট হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই একটি সুন্দর ঢাকা উপহার দিতে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো ধরনের চাঁদাবাজি চলবে না, কোনো টেন্ডারবাজি চলবে না। অনেক স্বার্থান্বেষী মহল এখান থেকে বাণিজ্য করছে। আপনারা কেউ ফুটপাত নিয়ে বাণিজ্য করবেন না। জনগণকে ফুটপাতে হাঁটতে দিন।
মেয়র জানান, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ডিএনসিসির উত্তরা অঞ্চল (অঞ্চল-১) থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। অঞ্চল-১ এর সড়ক ও ফুটপাত থেকে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরে অন্যান্য অঞ্চলেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হবে।
ফুটপাত থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদে পুলিশের সবরকম সহায়তা থাকবে জানিয়ে ডিএমপি নতুন কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বেশি কথা বলি না, কম কথা বলি। আপনারা যদি চান ফুটপাত দখলে থাকবে না তাহলে থাকবে না। পুলিশের কোনো সদস্য চাঁদা নিয়ে ফুটপাত দখল হতে দেবে- এই সাহস পাবে না। তবে বাস্তবতা হচ্ছে হকারদের কোথাও বসার জায়গা দিলেও অন্যরা সেটি দখল করে নেয়। শেষমেষ রাস্তার মানুষ রাস্তাতেই থেকে যায়।
তবে ফুটপাত দখলমুক্ত করা সহজ হবে না জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ফুটপাত দখলমুক্ত বাস্তবায়ন করতে গেলে বাঁধা আসবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। তবে রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা থাকলে আমরা সর্বাত্মক সাহায্য করবো।
সভায় জনপ্রতিনিধিরা ফুটপাত দখল উচ্ছেদ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন।
ডিএনসিসি’র মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক), ঢাকা-১৬ আসনের এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম, ডিএনসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ডিএমপির বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি)। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।