পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুদকের সহকারী পরিচালক নেয়ামুল আহসান গাজীর টেবিল থেকে নোটিশ চুরি করেছে দুদকের ভুয়া ডিজি পরিচয়দাতা আহসান আলী। পরে নোটিশটি সংশোধন ও স্বাক্ষর করার আগেই তিনি খসড়া নোটিশের ছবি তুলে নেন। ভুয়া নোটিশটি চলতি মাসের ৮তারিখে সংবাদপত্রে প্রকাশিতও হয়েছে!
জানা গেছে, বেনাপোলে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা ৬৭ মণ ভায়াগ্রার চালান আটকের পর কাস্টমস কমিশনার বেলাল চৌধুরীকে হেনস্থা করতে প্রতিহিংসাবশত এ নোটিশ চুরি করে সংবাদ মাধ্যম ছড়িয়ে দিয়েছেন আহসান আলী। চুরি করা নোটিশ ও বেনাপোল কাস্টম হাউজে গৃহীত মূল নোটিশে হাজিরার তারিখেও গরমিল দেখা যায়। মূল নোটিশে হাজিরার তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর হলেও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া ভুয়া নোটিশে ৮ সেপ্টেম্বর লেখা রয়েছে।
আহসান আলীর চুরি করা ভুয়া নোটিশে বেলাল চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের ভোটার আইডি, পাসপোর্ট, সম্পদের দলিল, ব্যাংকের কাগজ, সম্পত্তির কাগজপত্র ইত্যাদি তিন লাইনের ফর্দ রয়েছে। মূল নোটিশে এসব কিছু নেই, কেবল অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। দুদক সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও আহসান আলী দুদকের ভুয়া নোটিশ তৈরি করে লোকজনকে ফাঁসিয়েছেন। যার অসংখ্য অতীত রেকর্ড আছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর হাজিরার তারিখ লেখা ভুয়া নোটিশটি তিনি ২ সেপ্টেম্বর সংবাদমাধ্যমে ধরিয়ে দেন এবং সংশ্লিষ্টদের বোকা বানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেছেন, নোটিশ জারির দিন আহসান আলীকে তদন্তকারী কর্মকর্তার কক্ষের সামনে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে।
সূত্র জানায়, আহসান আলীর প্রবেশে দুদক চেয়ারম্যানের নিষেধাজ্ঞা সত্তে¡ও তিনি অবাধে ঢুকছেন দুদক অফিসে। বিভিন্ন ব্যক্তির নামে দিনে অন্তত এক ডজন বেনামী চিঠি জমা দিয়ে সেগুলো তদন্তে ফেলারও তদবির করেন তিনি। দুদকের কাগজপত্র চুরি করে, নাম ভাঙিয়ে ব্ল্যাক মেইলিং, জালিয়াতি, প্রতারণা করে অর্থ আদায় তার ব্যবসা।
কাস্টমস এর সহকারী কমিশনার উওম চাকমা জানান, আহসান আলীর নিজের শুল্ক ফাঁকির ৩১টি চালান ও ভায়াগ্রা খালাসে ব্যর্থ হয়ে প্রতিহিংসাবশত কমিশনারকে বদনাম ও অপদস্থ করতে প্রতিহিংসাবশত তিনি একাজ করেছেন। তিনি নিজের কম্পিউটারে এ নোটিশ তৈরি করে সাংবাদিকদের হাতে দিয়ে ফলাও করে প্রচারের ব্যবস্থা করেন।
বেলাল চৌধুরীকে ৯ সেপ্টম্বরের দুদকে হাজির হতে নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সহকারী পরিচালক নেয়ামুল আহসান গাজীর স্বাক্ষরে ২ সেপ্টেম্বর মূল নোটিশ জারিও হয়। কিন্তু মূল নোটিশ জারির আগেই স্বাক্ষরবিহীন নোটিশটি আহসান আলী হাতিয়ে নেন এবং সংবাদ মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেন।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসনে চৌধুরী জানান, সারাদেশের মানুষের সম্পদের তদন্ত করে দুদক। দুদকের তদন্তভুক্ত সবাই দোষী নন। আগে অপরাধ প্রমাণ হতে হবে কিন্তু এভাবে কেউ গোপনে তথ্য নিয়ে সাধারণ মানুষকে ব্ল্যাক মেইল বা হয়রানি করবে, এটা জাতীয় প্রতিষ্ঠান দুদকের সাথে মানায় না। দুদকের সুনাম নষ্টে দুদকের ভেতরের ও বাইরের চক্র কাজ করছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক নেয়ামুল আহসান গাজী জানান, ৮ সেপ্টেম্বর দুদক থেকে কাস্টমস কমিশনারকে যে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল তা দুদকের সাবেক ডিজি পরিচয়দানকারী আহসান আলী চিঠি জাল করে বেলাল চৌধুরীকে পাঠানো হয়। আসলেও সেটি ছিল ভুয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।