পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধরপাকড়ের শিকার হয়ে সউদী আরব থেকে রোববার দিবাগত রাতে দেশে ফিরেছে ১৪০ বাংলাদেশি কর্মী। খালি হাতে ফেরা এসব কর্মীদের কেউ কেউ এক কাপড়ে দেশে ফিরেছে। কারো ছিল খালি পা, কেউ আবার কাজের পোশাক পরেই বিমানে উঠেছে। সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট (এসভি-৮০৪) যোগে রাত সোয়া ১১টায় এসব কর্মী হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। বিমানবন্দরস্থ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ ডেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তার মতে, সউদী প্রশাসনের হঠাৎ ধরপাকড়ের শিকার হয়ে এসব কর্মী দেশে ফিরেছে। তবে এটি দেশটির চলমান প্রক্রিয়া। ফেরত আসা এসব কর্মীর ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে বিমানবন্দরে খাবার সরবরাহসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য জরুরি সহায়তা দেয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, সউদী প্রশাসন প্রতিদিন শত শত বিদেশি কর্মীকে গ্রেফতার করছে। রিয়াদ ডিপোর্টেশন ক্যাম্পে এখন হাজারখানেক বাংলাদেশি রয়েছেন। খালি হাতে দেশে ফেরা মুন্সীগঞ্জের শরিফ হোসেন, নরসিংদীর মো. জোবাইর, মেহেরপুরের সেলিম রেজা ল²ীপুরের ফরিদ, টাঙ্গাইলের আলিম ও মনির হোসেনসহ অনেকের অভিযোগ, বৈধ আকামা থাকা সত্তে¡ও তাদের জোর করে ধরে জেলখানাতে নিয়ে যাওয়া হয়।
অনেক ক্ষেত্রে মালিকপক্ষ আকামা নবায়ন করেনি বা তা বাতিল করে কর্মীদের দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে জানিয়ে তারা বলেন, এক্ষেত্রে সউদী আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের কোনো সহযোগিতা করেনি।
চাঁদপুরের বাবুল হোসেন ভাগ্য বদল করতে সউদী গিয়ে গ্রেফতার হয়ে দেশে ফিরে অভিযোগ করেন, সউদীতে ছয় মাসের বৈধ আকামা (কাজের অনুমতিপত্র) থাকার পরও কর্মস্থল থেকে ধরে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তার কোনো কথা শোনেনি দেশটির প্রশাসন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনই ব্যবস্থা নেয়া না হলে সউদী শ্রমবাজার নিয়ে বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানান তারা।
উল্লেখ্য, দেশটির কর্তৃপক্ষ তাদের চলমান অভিযানে কাজ ও থাকার নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে এ প্রায় ৩৮ লাখ বিদেশিকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার হওয়া বিদেশিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯ লাখ ৪০ হাজার ১০০ জনকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।