পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১১ হত্যা মামলার আসামি, দুর্ধর্ষ ডাকাত আকবর আলীর ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তারেকুল ইসলাম চৌধুরি। দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ী এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে আকবর। সশস্ত্র তারেক ঢাকায় পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। এক মাস ধরে তিনি স্বজনদের বাসায় আত্মগোপনে রয়েছেন।
বাঁশখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, আকবর আলীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। একটি ডাকাতির মামলায় মাসখানেক আগে তাকে গ্রেফতার করে চালান দেয়া হয়। পরবর্তীতে হয়তো জামিনে বেরিয়ে এসেছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলে নিশ্চয়ই তাকে আবারো গ্রেফতার করা হবে।
ঢাকায় দৈনিক ইনকিলাব কার্যালয়ে হাজির হয়ে তারেকুল ইসলাম চৌধুরি জানান, চট্টগ্রাম বাঁশখালী থানাধীন কদম রসূল গ্রামের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী তিনি। আকবর আলী প্রাণনাশের হুমকি দিলে গত ২৫ আগস্ট চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন।
এতে তিনি উল্লেখ করেন, পাশের গ্রাম খানখানাবাদের মৃত ফয়েজুল্লাহ খানের ছেলে আকবর আলী (৪৫) এবং আরফাত আলী (৩০) কুখ্যাত সন্ত্রাসী। এদের মধ্যে আকবর আলী ১১টি খুনের আসামি। বাঁশখালির সাধনপুর, শীলপাড়ায় ১১ হত্যা মামলা, দিদার হত্যা, ওসমান হত্যা মামলার আসামি তিনি।
এছাড়া বাঁশখালি থানায় তার নামে বেশ কয়েকটি ডাকাতি এবং অবৈধ অস্ত্র মামলাও রয়েছে। সহোদর আরফাত আলীর বিরুদ্ধেও রয়েছে ত্রাস সৃষ্টি, চাঁদাবাজির অভিযোগ। তারা উভয়েই এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। স্থানীয়রা তাদের হাতে জিম্মি। ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস করেন না। এহেন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ধারাবাহিকতায় গত ২১ আগস্ট চট্টগ্রাম কোর্টহিল এলাকায় আকবর আকস্মিকভাবে চড়াও হয় তারেকুলের ওপর। তাকে মারধোর করে। পরে তার কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
এরপর থেকে তারেকুলকে হত্যার জন্য সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছেন আকবর আলী। এ ঘটনার পর তারেকুল কিছুদিন চট্টগ্রামে আত্মগোপনে ছিলেন। এরপরও হুমকি অব্যাহত থাকায় এ পর্যায়ে তিনি ঢাকায় চলে আসতে বাধ্য হন। বর্তমানে তার ব্যবসা বন্ধ। এক মাস ধরে তিনি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পোল্ট্রি খামারের যেতে পারছেন না।
খাবার ও ভ্যাকসিন না পেয়ে ফার্মের বহু মুরগি মারা গেছে। পুঁজি হারিয়ে এখন তার পথে বসার যোগাড়। এমতাবস্থায় তারেকুল বাঁশখালির শীর্ষ সন্ত্রাসী আকবর আলী ও তার ভাই আরফাত আলীকে অবিলম্বে গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।