Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাঁদা কম দেয়ায় দোকানিকে মারধর

জবি ছাত্রলীগ

জবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) টিএসসিতে অবস্থিত দোকান থেকে চাঁদাবাজি করছে ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক তরিকুল-রাসেলের নেতা-কর্মীরা। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষপদে রদবদলের এক দিন পরেই বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিতে বসানো দেকানগুলো থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। এসময় চাঁদার টাকা কম দেয়ায় কয়েকজন দোকানিকে পিটিয়ে আহতও করেন তারা। প্রতিবাদে ধর্মঘট ডেকে দোকান বন্ধ রেখেছে দোকানিরা।

টিএসসি’র দোকানিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছাত্রলীগের নেতারা তাদের কর্মীদের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছিল। দোকান বসানোর সময় প্রতি দোকান থেকে ১০ হাজার টাকা করে অগ্রিম নেয়া হয়েছিল। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির পর নেতাকর্মীরা এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে পড়লে টিএসসিতে চাঁদাবাজির ব্যাপকতা আরও বেড়ে যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক দোকানি বলেন, রোববার সন্ধ্যায় মাছুম, মামুন, আলমগীর, লিখন, শিশির, কামরুলসহ ১২-১৫ জন টিএসসির প্রতি দোকান থেকে ২০ হাজার ও সিংগারা-সমুচার দোকান থেকে ৫০ হাজার টাকা তাৎক্ষণিক চাঁদা দাবি করে। এসময় দোকানিরা এতো টাকা দিতে পারবে না বলে জানালে দোকানদার ইমনকে পাইপ দিয়ে মারধর শুরু করে। তাকে বাঁচাতে এলে আরো দুই দোকানিকে মারধর করে তারা। এরপর দোকানের ক্যাশ হাতিয়ে সব দোকান থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ও সিগারেটের প্যাক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বিকাশের দোকান থেকে ক্যাশের পাশাপাশি ৬ হাজার টাকা বিকাশ করে নিয়ে যায়।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ যে কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডকে প্রশ্রয় দেবে না ছাত্রলীগ। কোনো অপরাধ দেখা মাত্র আমরা জড়িতদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবো। প্রশাসনকেও বলবো যাতে কোন ছাড় না দেয়া হয়।

জবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি তরিকুল ইসলামকে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি প্রথমে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেন। এরপর বলেন, টিএসসিতে চাঁদাবাজির বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি এখন জেনেছি, খোঁজ নিয়ে দেখবো।

বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, র‌্যাব ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে চাঁদাবাজদের একটি তালিকা চাওয়া হয়েছে। আমরা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করছি। খুব শীঘ্রই আমরা এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্তও নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ