পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজারের টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন চীনের প্রতিনিধি দল। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে তারা ক্যাম্প এবং জেটিঘাট এলাকা ঘুরে দেখেন। বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকরা সাক্ষাতকালে মিয়ানমারে ফিরে যেতে সমস্যার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন, মিয়ানমারে এখনও রোহিঙ্গাদের জন্য শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। সেদেশে বিবদমান গ্রুপের মধ্যে সংঘাত লেগে আছে। এখনও যেসব রোহিঙ্গা সেদেশে রয়েছে তাদের ওপর নির্যাতন চলছে। এ পরিস্থিতিতে আমরা কিভাবে মিয়ানমার যাব।
পরিদর্শনকালে শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সিআইসি কার্যালয়ে ২০ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধিদল রাখাইন রাজ্যে পাঠাতে প্রস্তাব দেন। এ সময় বাংলাদেশ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন সহকারি কমিশনারসহ চীনের প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। রোহিঙ্গা নেতারা জানান, মিয়ানমারে নাগরিকত্ব, কেড়ে নেয়া জমি ফেরত ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে তারা মিয়ানমারে ফিরে যাবেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় মিয়ানমার পরিস্থিতি দেখতে রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দল সেদেশে পাঠালে যাবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রোহিঙ্গারা যাবেন বলে সম্মতি দেন।
রোহিঙ্গা নেতা গুরা মিয়া রোহিঙ্গাদের জন্য দু’টি প্রস্তাব করেন। একটি হলো, রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলে জনপ্রতি দু’টি মোবাইল সেট দিতে হবে। একটি নিজে সেদেশে যাওয়ার সময় নিয়ে যাবেন, অন্যটি এখানে পরিবারের কাছে রাখবেন। যদি মিয়ানমারের পরিস্থিতি ভালো হয়, মোবাইলে জানিয়ে পরিবারকে সেদেশে নিয়ে যাবেন। আরেকটি হলো, একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে গিয়ে অবস্থা দেখে ঘুরে চলে আসবেন। যদি সেখানকার অবস্থা ভালো হয় পরিবার নিয়ে তিনি সেদেশে ফেরত যাবেন।
বৈঠকে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, দীর্ঘ যুগ ধরে রোহিঙ্গাদের ওপর ধারাবাহিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছে মিয়ানমার সরকার। আমরা এখন তাদের আর বিশ্বাস করতে পারি না। তাই আমরা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার কথা বলেছি।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে চীনের রাষ্ট্রদূত টেকনাফের কেরনতলী ট্রানজিট ঘাট পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রত্যাবাসন নিয়ে লি জিমিং জানতে চাইলে জবাবে ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত) শামসুদ্দৌজা নয়ন বলেন, প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন নয়াপাড়া শরণার্থী রোহিঙ্গা শিবিরের ইনচার্জ (সিআইসি) আব্দুল হান্নান, জাদিমুরা ও শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরের ইনচার্জ মোহাম্মদ খালিদ হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা। এর আগে রোববার চীনের এ প্রতিনিধি দল নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু শূন্য রেখায় আটকা পরা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে এবং সীমান্ত ঘুরে দেখেন।
এদিকে দ্বিতীয়বারের মত গত ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রতিনিধি দল পাঠায় চীন। এ প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার। কিন্তু রোহিঙ্গারা রাজি না হওয়ায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।