পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদ থেকে পদত্যাগের পর শোভন-রাব্বানীর শাস্তির দাবিতে সোচ্চার ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতারা। অন্যদিকে দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ ওঠায় নৈতিক স্খলনের দায়ে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে ডাকসু ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধির পদ থেকে বহিষ্কার দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছে কয়েকটি বাম সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরও।
মাদক সেবন, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিসহ সাংগঠনিক নিয়ম-শৃঙ্খলায় ব্যত্যয় ঘটানোর অভিযোগে শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠকে ভ্রাতৃসংগঠন ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকে সরিয়ে দিয়ে নতুন নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়। ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে জিএস পদে নির্বাচিত হন গোলাম রাব্বানী। অন্যদিকে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন নির্বাচনে হারলেও পরে তাকে সিনেটের সদস্য করা হয়। শাস্তি দাবিকারীরা বলছেন, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠায় এ দুই নেতার নৈতিক স্খলন ঘটেছে। ফলে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিনেট ও ডাকসুর গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন তারা।
সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে দুই নেতার বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ টাকার চার থেকে ছয় শতাংশ দাবি করার বিষয়টি গণমাধ্যমে এসেছে। এ ছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস ভবন স্থানান্তরে টেন্ডারের ভাগ পেতে তুচ্ছ কারণে শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট শাখার নেতাকর্মীদের। আওয়ামী লীগের গুলিস্তানের কার্যালয়ে মাদক সেবনের প্রমাণ পাওয়া গেছে শোভনের বিরুদ্ধে।
গতকাল রোববার দুপুরে ডাকসু ভবনের সামনে চাঁদাবাজির অপরাধে শোভন ও রাব্বানীকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা ও সিনেটের সদস্য পদ থেকে অপসারণ এবং ডাকসুর জিএস পদ থেকে রাব্বানীকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। এ সময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন বলেন, ডাকসু নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হয় তখন আমাদের স্পষ্ট অভিযোগ ছিল জালিয়াতির মাধ্যমে রাব্বানী নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা এখন অবিলম্বে এই চাঁদাবাজ এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ডাকসুর জিএসের পদত্যাগ দাবি করছি। যিনি দল থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এ রকম একজন ডাকসু জিএস-কে আমরা চাই না।
এ দিকে শোভন ও রাব্বানীর অপরাধের তদন্ত করে তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি শনিবার মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভে শোভন-রাব্বানীকে ‘বহিষ্কার’ করায় এ সময় আনন্দ প্রকাশ করার সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তারা। পদবঞ্চিত নেতারা বলেন, যে অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে তার তদন্ত করে বিচার করতে হবে। শুধু পদ থেকে সরিয়ে দেয়াই তাদের একমাত্র শাস্তি হতে পারে না। সংগঠনটির সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাকীব হোসেন বলেন, সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকারী ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ায় বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে ছাত্রফ্রন্টের ঢাবি শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, অভিযোগগুলো প্রকাশ্যে এসেছে। সেগুলোর সত্যতা নিয়েও কোনো প্রশ্ন নেই। তার নিজেরই উচিত হবে পদত্যাগ করা। তার কৃতকর্ম কোনোভাবেই ডাকসুর মূল চেতনার সাথে যায় না। ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ছাত্রলীগের মতো একটি সংগঠনের পদে থেকে তারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির মতো অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। ফলে ঢাকা বিশবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের, এক অর্থে দেশের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে থাকার নৈতিক যোগ্যতা তারা হারিয়েছেন। ফলে ডাকসুর সভাপতি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির উচিত হবে সিনেট ও ডাকসু থেকে তাদের পদত্যাগের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।