পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ট্যাক্স আপিলাত ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে আইনজীবী নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল রোববার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে কর আইনজীবী সমিতির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএলএ)-এর আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন নেতৃত্বে সিনিয়র আইনজীবীরা মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় কর আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে নতুন আয়কর আইন তৈরি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আদলে ট্যাক্স বার কাউন্সিল গঠন, আয়কর ট্রাইব্যুনালকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে পুনরায় আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থানান্তর করা, বিধান অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালে জেলা জজ ও সিনিয়র আয়কর আইনজীবীদের নিয়োগ দেয়া এবং সরকারের আইনী সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য জজকোর্ট, হাইকোর্ট-এর আদলে ট্রাইব্যুনালে সরকারের পক্ষে আয়কর আইনজীবীদের নিয়োগ দেয়ার দাবি জানানো হয়।
এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমরা আপনাদের নিয়ে অর্থমন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে শিগগিরই বসবো। আপনারা আপনাদের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরবেন। পরে আমরা বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে যতদ্রুত সম্ভব সমাধান করব। আমরা এটুকু বলতে পারি যে, বিধান অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে আইনজীবী নিয়োগ ও জেলা জজ নিয়োগের বিষয়টি শিঘ্রই ফয়সালা করা হবে। বৈঠকে কর আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, জাতীয় রজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বেচ্চাচারিতা ও হয়রানি রোধে নতুন আয়কর আইন প্রণয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। পাশপাশি সরকারের রাজস্ব আহরণের সঙ্গে যুক্ত কর আইনজীবীদের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আদলে ট্যক্স বার কাউন্সিল গঠনের দাবি জানান তিনি। এই আইনজীবী নেতা বলেন, ১৯৮৪ সালের জারিকৃত আয়কর অধ্যাদেশকে পরবর্তীতে আয়কর আইনে পরিণত করার বিধান থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এটা না করার ফলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারিতা ও হয়রানি বেড়ে গেছে। তারা যখন তখন এসআরও (প্রজ্ঞাপন) জারি করে করদাতাদের হয়রানি করে। এর ফলে কর আদায় ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।