পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ধরে রাখতে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিয়মিতভাবে যাতে আমাদের জাতীয় সম্মেলন হয় সেজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের উপ-কমিটি গুলো, তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যাবে বলে আশা করছি।
শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন। সভায় দলের কার্যনির্বাহী সংসদের প্রায় সকল সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের ওপর মানুষের বিশ্বাস আস্থা ধরে রাখতে হবে। মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত যেসব নেতাকর্মী আছে তাদের প্রত্যেককে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন,
আওয়ামী লীগ একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা বিরোধী দলে থাকলেও দেশের উন্নয়নের পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। আমাদের প্রতি মানুষের যে আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। আমরা মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। মানুষ জানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নতি হয় এবং হবে। এই বিশ্বাস ও আস্থা ধরে রাখতে হবে। মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগের তৃণম‚ল পর্যায় পর্যন্ত যেসব নেতাকর্মী রয়েছেন- তাদের প্রতিটি নেতাকর্মীকে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।
তিনি বলেন, আমরা কিছু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি, এর মধ্যে ভিশন-২০২১ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলবো। আমি বিশ্বাস করি এত সময় লাগবে না, এর আগেই আমরা তা করতে পারবো। ২১০০ সালের জন্য আমরা ডেল্টা প্ল্যান দিয়েছি। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। এই কথাটা আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে মনে রাখতে হবে এবং সেভাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
আওয়ামী লীগ দায়িত্বশীল দল হিসেবে যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের জন্য কাজ করেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে এটি জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। তাই এই সংগঠনের প্রত্যেককে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে হবে। সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সে কথা মাথায় রেখে সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সুসংগঠিত করে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, নিয়মিতভাবে যাতে আমাদের জাতীয় সম্মেলন হয় সেজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের উপ-কমিটি গুলো, তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যাবে বলে আশা করছি। বাংলাদেশেরে অগ্রযাত্রা আর কেউ থামাতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। অন্যরা উড়ে এসে জুড়ে বসে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতায় বসেছে, তাদের দায়বদ্ধতা নেই। তারা আছে নিজেদের ভাগ্য গড়তে। যখন ক্ষমতায় ছিল তারা তাই করে গেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, একটা কথা স্পষ্ট, দেশে যে দল সংগ্রাম করে, যে দল ত্যাগ স্বীকার করে, মানুষের কল্যাণে কাজ করে, তাদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে স্বাধীনতা আসে। সে দল ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নতি হয়। আর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আসা দল দেশের উন্নয়ন, তাদের লক্ষ্য নয়, অবৈধভাবে দখল করা ক্ষমতাটাকে নিশ্চিত করতেই তারা ব্যস্ত থাকে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ সংক্রান্ত আলোচনা হয়েছে বলে বৈঠকে উপস্থিত থাকা দলটির একজন নেতা নিশ্চিত করেছেন। ওই নেতা জানান, সব কিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরের ২০ ও ২১ তারিখ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে টানা অষ্টমবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। তার রানিং মেট হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।