পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমি কলকাতাকে কখনও আলাদা মনে করি না। সেখানে গেলে মনে করি, আমি বাংলাদেশেই আছি। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কলকাতার নিউটাউনে অবস্থিত ‘রবীন্দ্র তীর্থ’ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ইন্দো-বাংলা সামিট-২০১৯’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইন্দো-বাংলা কাউন্সিল ফর কমার্শিয়াল অ্যান্ড কালচারাল কোলাবরেশন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ হাজার বছরের পুরনো। আমাদের এক জাতি, আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি একই। বাংলাভাষা পৃথিবীর অন্যতম মাধুর্যময় ভাষা। তিনি বলেন, সমগ্র পৃথিবীতে এক সময় এ অবিভক্ত ভারতের যৌথ বাংলাই ছিলো ধনী। এখন পৃথিবীতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলছে। সেই বিপ্লব জোর দিয়েছে ডিজিটাল ইনফরমেশন টেকনোলজির ওপর। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্যোগ নেয়। সেই উদ্যোগ আজকে বাস্তবায়নের দিকে। ভারতে একই রকম উদ্যোগ নিয়েছে।
তবে আমি মনে করি নিজেদেরকে উন্নত করতে হলে শিক্ষার প্রয়োজন। আর শিক্ষা কখনোই বেড়াজাল মানে না। বাস্তবে শিক্ষা আদান-প্রদানে দুই দেশ আরও উন্নত হতে পারে। এর সঙ্গে আরও বাড়াতে হবে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান। মনে রাখতে হবে পৃথিবীতে এককভাবে কোনো দেশ উন্নতি করতে পারে না। এ অঞ্চল উন্নত হলে বাংলাদেশ-ভারত উন্নত হবে।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিটিভি ভারতে এসেছে, আশা করি আগামীতে বেসরকারি চ্যানেলগুলো আসবে। এ বিষয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে কথা চলছে, অচিরেই বেসরকারি চ্যানেলগুলো আসবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের প্রধান তৌফিক হাসান, বাংলাদেশের লিডিং ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী ও পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি আবু তাহের কামরুদ্দিন। এছাড়া বাংলাদেশের ৬ জেলার শিক্ষা পর্ষদ এবং ইন্দো-বাংলা কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট বনমালী ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।