পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মাদার বক্স হলের আবাসিক হলের গেস্ট রুমে বসা নিয়ে দলীয় কর্মীদের ব্যাপক মারধর করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারা। দু’দফা মারামারিতে ৭ জন আহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে মাদার বক্স হলের গেস্ট রুমের ঘটনার পর দুপুর দেড়টার দিকে মারামারির ঘটনা ঘটে। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার দাবী করলেও দ্’ুগ্রুপে যেকোন সময় বড় ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আহতরা হলেন দর্শন বিভাগের একরাম হোসেন রিওন, মারুফ পারভেজ, রনি, জসিম, ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের লিমন, লোক প্রশাসনের সোহেল, ইতিহাস বিভাগের রাজিব। মারধরের শিকার ৭ জন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সাকিবুল হাসান বাকির অনুসারী৷এদিকে মারধরকারীরা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী।
এ বিষয়ে সাকিবুল হাসান বাকি বলেন, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আমি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলাম। সেখানে একবছর মেয়াদি কমিটি ঘোষণা করা হয়। আমি শাখা ছাত্রলীগে কোনো পদ পায়নি। এক বছরের কমিটি তিন বছর হয়ে গেছে। এই তিন বছর ধরেই আমার ছেলেদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১২ টার দিকে গেস্টরুমে ছিলেন ছাত্রলীগ কর্মী কামরুল। এ সময় বাকির অনুসারী লিমন গেস্টরুমে আসেন। সেখানে বসা নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে সেই ঘটনা হলের সামনে মারামারিতে গড়ায়।
তবে সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, গেস্টরুমে ঝামেলার পর লিমন বন্ধুদের নিয়ে কামরুলের রুম ভাঙচুর করে। পরে কামরুল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এদিকে একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সহ সভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, আরিফ বিন জহির, মিজানুর রহমান সিনহা, সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল কুমার অর্ক, ছাত্রলীগ কর্মী সুব্রত মারামারিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যদিও সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক রুনু মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, গেস্টরুমে বসা নিয়ে দুই আবাসিক শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথমে ঘটনার সূত্রপাত। পরে একটি বড় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।