Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

প্রতিহিংসার রাজনীতির জন্য বিএনপিকে ক্ষমা চাইতে হবে

আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির জন্য জাতির কাছে বিএনপির ক্ষমা চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১২৭তম জন্মবার্ষিকী এবং গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপিকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বর্জন করার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিহিংসার রাজনীতির জন্ম দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। জিয়া ইনডেমনিটি পাস করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কার্যক্রম বন্ধ করেছিলেন। তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট জন্মদিনের কেক কাটেন। তার সরকারের সময় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা করে নেতৃত্বশূন্য করার চক্রান্ত করা হয়েছিল।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপির জনসভায় কোনো বোমা হামলা হয়নি। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের হত্যা করা হয়নি। বিএনপির এসব প্রতিহিংসামূলক কাজের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অবান্তর কথা না বলে আয়নায় নিজেদের মুখ দেখুন। নিজেদের দল সংগঠিত করুন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নাম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বাঙালির মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করছে। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা দেখে কাছে টেনে নিয়েছিলেন।

সংগঠনের সভাপতি সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, কামাল চৌধুরী, আখতার হোসেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ