পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পরিশোধ না করে ছাঁটাই করার অভিযোগে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন সাতরাস্তা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ও গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নাসা গ্রæপের গার্মেন্টসের কয়েকশ’ শ্রমিক এ আন্দোলন করে।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শ্রমিকরা গার্মেন্টেসের সামনে রাস্তা বন্ধ করে মূল সড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। এতে সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মগবাজার-মহাখালী সড়কসহ আশপাশের সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ তাদের সরাতে গেলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বেলা ১২টার পর শ্রমিক-মালিক পক্ষের মধ্যে মীমাংসা হলে তারা অবরোধ তুলে নেয়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পরে যান চলাচল শুরু হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
নাসা গার্মেন্টসের শ্রমিক কাইয়ুম বলেন, বেতনসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা পরিশোধ না করেই গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ আমাদের ছাঁটাই করছে। অনেকে ছাঁটাইয়ের পর গার্মেন্টস থেকে বের না হতে চাইলে তাদের মারধর করা হয়। এ নিয়ে আমরা শ্রমিকরা এক হয়ে প্রতিবাদ করি। এতে গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের লোকজন আমাদের উপরও চড়াও হয়। তারা আমাদের পাওনা দিতে অস্বীকার করে। এ কারণে আমরা সড়কে নেমে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করি। কিন্তু পুলিশও আমাদের ওপর চড়াও হয়। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, গার্মেন্টসে নিয়মবহির্ভূত শ্রমিক ছাঁটাই ও নির্যাতনের প্রতিবাদে তাদের এই অবস্থান। তারা কোনো ধরণের ভাংচুর করেননি।
গতকাল দুপুরে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) সালমান হাসান বলেন, শ্রমিকরা এখনো অবস্থান নিয়ে আছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে। শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গার্মেন্টস মালিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, নাসা মেইনল্যান্ডের গার্মেন্টস শ্রমিকরা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও সাতরাস্তা মোড়ে অবস্থান নেয়ার কারণে এক পাশে মগবাজার ও অপরদিকে মহাখালীর সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অফিস ও স্কুলগামীরা বিপাকে পড়েন। অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে হয়েছে। অফিসগামীদেরকেও গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে অফিসে যেতে দেখা গেছে।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি ফজলুল হক বলেন, বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখে পোশাক শ্রমিকরা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শ্রমিকদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সড়ানোর চেষ্টা করা হয়। এছাড়া মালিক পক্ষের সঙ্গেও বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করা হয়। তিনি বলেন, বুধবার রাত থেকেই শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। রাতে তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সকালে তারা আবারও সড়কে জড়ো হয়।
গতকাল বিকেলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি আলী হোসেন বলেন, বুধবার রাত ১১টার পর শ্রমিকরা গার্মেন্টসের আশপাশে অবস্থান নেন। উত্তেজিত শ্রমিকরা গার্মেন্টসে ভাঙচুর করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। গত দু’দিন শ্রমিক ছাঁটাই নিয়ে তাদের এই অসন্তোষ। সকাল থেকে তারা আবারো সড়কে অবস্থান নেয়। পরে আলোচনা হলে তারা দুপুরের পর সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিলে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর যান চলাচসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।