পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ভেবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে যারা রক্ত পরীক্ষা করিয়েছেন তাদের মধ্যে মাত্র ১৭ দশমিক ৭ মানুষের এনএসওয়ান পজেটিভ (ডেঙ্গু হয়েছে) পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর রোগতত্ত¡, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। ‘নলেজ শেয়ারিং অন ডেঙ্গু সার্ভিলেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে আইইডিসিআর এর পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ডেঙ্গু সার্ভিলেন্সের অংশ হিসেবে চলতি বছরের মে মাসের এক তারিখ থেকে আগস্ট মাসের ১৮ তারিখ পর্যন্ত রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতাল থেকে (যারা ডেঙ্গু সংক্রান্ত রোগীদের সব তথ্য সংরক্ষণ করে) প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে। পরিসংখ্যানে মোট ২৭ হাজার ৭৪২ জন মানুষের ডেঙ্গু পরীক্ষার হিসেব নেয়া হয়েছে। যেখানে ৪ হাজার ৯২০ জনের শরীরে ডেঙ্গু পজেটিভ পাওয়া গেছে। যা মোট সংখ্যার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ। বাকি ৮২ দশমিক ৩ শতাংশের ক্ষেত্রেই ডেঙ্গু নেগেটিভ ফল পাওয়া গেছে। এদিকে গত দুই দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপরেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) নতুন করে আরও ৬৩৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকায় ২২১ এবং ঢাকার বাইরে ৪১৩ জন। গত ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৭৮ হাজার ৬১৭ জন হাসপতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৫ হাজার ২২৫ জন। যা হাসপাতালে মোট চিকিৎসা গ্রহণকারী রোগীর ৯৬ শতাংশ। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ৩ হাজার ১৬৫ জন। এরমধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ১ হাজার ৪৩৪ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ১ হাজার ৭৩১ জন। সরকারের রোগতত্ত¡ রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে এ পর্যন্ত ১৯৭ জন মৃত রোগীর তথ্য এসেছে। এরমধ্যে ১০১ জনে মৃত রোগীর তথ্য পর্যালোচনা করে ৬০ জনের ডেঙ্গুজনিত মৃত্যু নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সাত মৃত্যু: এদিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) এক শিশুসহ সারাদেশে আরও ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে ৪ জনই নারী।
ঢামেকে খাদিজা আকতার (আড়াই বছর) নামে এক শিশু ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে। গতকাল বুধবার বিকালে মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম রহিমা বেগম (৫০)। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় তিনি মারা যান। মৃত রহিমা বেগম সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আজরাইল গ্রামের রফিকুল ইসলাম মোড়লের স্ত্রী।
এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরিশালে জিহাদ (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এ কর্তব্যরত ডা. অসীত ভ‚ষণ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে জিহাদ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ভর্তি হয়। শরীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে বুধবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে যশোরের জেলার মণিরামপুর উপজেলার আব্দুল কাদেরের স্ত্রী জাহিদা বেগম (৩৫) এবং একই উপজেলার মশ্মিমনগর গ্রামের ইনতাজ আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪৫) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন। জাহিদা বেগম বুধবার সকালে এবং জাহানারা বেগম মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
অপরদিকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মিনা খাতুন (২৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সে ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের কাজিহাটা গ্রামের রায়হান আলীর স্ত্রী। গত মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল আমীন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার কবিরাজপুর ইউনিয়নের শ্রীকৃষ্ণদী গ্রামের দফাদার সিদ্দিক মাতুব্বর (৬৫) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন। সোমবার গভীর রাতে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. কামদা প্রসাদ সাহা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।