পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৪৩৬ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার বেলা ১১টায় গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেগুলো উদ্বোধন করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ থেকে উৎপাদনে যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র কাপ্তাই সোলার পাওয়ার প্লান্ট। ৭ দশমিক ৪ মেগাওয়াট সক্ষমতার পাওয়ার প্লান্টটি এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক, পিডিবি ও সরকারি অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে গ্রিড সাব স্টেশন ও সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হচ্ছে।
এর মধ্যে রয়েছে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে ২শ মেগাওয়াট, বগুড়ার শাহাজাহানপুরে ১১৩, জামালপুরে ১১৫ ও রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে ৭ দশমিক ৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র ।
বগুড়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্রর ব্যবস্থাপক সাঈদ হাসান চৌধুরী ইনকিলাবকে জানান, প্রায় ৭০০ কোটি টাকার এ কেন্দ্রটি বগুড়ার বিদ্যুতের চাহিদার পুরোটাই মেটাতে পারবে। প্রয়োজনে জাতীয় গ্রিডেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পিডিবি-এর আওতাধীন এ প্রকল্পগুলো আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, বগুড়া ও রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে।
২০১৭ সালের ৯ জুলাই রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাইতে ৭ দশমিক ৪ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণের লক্ষ্যে ইপিসি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কাপ্তাই ৭.৪ মেগাওয়াট সোলার ফটোভোল্টিক গ্রিড কানেকটেড পাওয়ার জেনারেশন প্ল্যান্ট এট কাপ্তাই’। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেটটিই করপোরেশন পাওয়ার প্লান্টটি নির্মাণ করেছে। চুক্তির আওতায় প্রকল্পের ইপিসি (ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন) কাজ করছে জেটটিই করপোরেশন।
সৌরশক্তির এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৯ কোটি ৫৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৮৪ কোটি ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা দিচ্ছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই প্রকল্পে সরকারি (জিওবি) অর্থায়ন হচ্ছে ১৭ কোটি ৫৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা। অবশিষ্ট ৭ কোটি ৪৪ লাখ ২১ হাজার টাকা অর্থায়ন করছে পিডিবি। এ প্রকল্পে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ টাকা ৪৮ পয়সা। দেশের প্রথম বৃহৎ সোলার পাওয়ার প্লান্টটি নির্মাণ করা হয়েছে টেকনাফে। গত ২৫ সেপ্টেম্বও থেকে উৎপাদন শুরু করে ২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার টেকনাফ সোলারটেক নামের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার আলীখালীতে ১১৬ একর জমিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বিনিয়োগ করেছে জুলস পাওয়ার লিমিটেড। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহায়তা দিয়েছে টেকনাফ সোলারটেক এনার্জি লিমিটেড (টিসিইএল)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।