Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রাতে ভয়ঙ্কর ছিনতাইকারী দিনে পরিবহন শ্রমিক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

তিন পরিবহন শ্রমিকের মধ্যে আব্দুল হক রনি ওরফে বাবু পেশায় একজন বাস চালক। এছাড়া সুজন ওরফে শাহজালাল কন্ডাক্টর আর আউয়াল হাওলাদার অটোরিকশা চালক। তবে এর বাইরেও তাদের ভিন্ন পরিচয় রয়েছে। দিনের বেলা তারা পরিবহন শ্রমিক হলেও রাতে এরা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য।

স¤প্রতি গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে ছুরিকাঘাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম (৩৫) হত্যার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ওই তিনজনকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসে ছিনতাইকারী চক্রের এমন ভয়ঙ্কর তথ্য। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।

তিনি বলেন, এ চক্রের বেশ কিছু সদস্য রয়েছে। তারা ছিনতাইয়ের কাজের সুবিধার জন্য নানা পেশা বেছে নিয়েছে। এ চক্রের সদস্যরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিবহনে কাজ করে। এরপর রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে তারা হয়ে ওঠে এক একজন ভয়ঙ্কর ছিনতাইকারী। এ চক্রটি মাঝে মধ্যে মোটরসাইকেল দিয়েও ছিনতাই করে থাকে। সাধারণ পথচারী মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় এবং নারী পথচারীদের পরিধেয় স্বর্ণালঙ্কার লক্ষ্য করে থাবা দিয়ে ছিনিয়ে নেয়। কখনও কখনও নিজেরা বাঁচতে ভুক্তোভোগীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।

সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর ভোরে সাড়ে ৪টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানাধীন কলেজ গেট এলাকায় কামরুল ইসলামকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। হত্যাকান্ডের ঘটনায় ছোট ভাই আবুল কালাম মতিউর রহমান (২২) বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলা নং-২৪।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত কামরুল ইসলাম নাটোর জেলার সদর থানাধীন শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের আবুল কাসেমের বড় ছেলে। তিনি সিলেটে কর্মরত ছিলেন। সাপ্তাহিক ছুটি শেষে নাটোর থেকে ঢাকায় অফিসিয়াল মিটিংয়ে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে গত ৬ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে রওনা দেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর রাত ৪টায় টঙ্গী পূর্ব থানাধীন দত্তপাড়ায় নামামাত্র ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মকভাবে জখম করে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও নগদ ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান কামরুল। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের পর র‌্যাব গোয়েন্দা তথ্য ও তদন্তের ভিত্তিতে মূলহোতা বাবু, সহযোগী সুজন ও আউয়ালকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার চাকু, হত্যার সময় ব্যবহৃত অটোরিকশা এবং ভিকটিমের মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।

গ্রেফতার বাবু পেশায় আব্দুল্লাহপুর-বাড্ডা রুটের একটি পাবলিক বাসের ড্রাইভার। সুজন পেশায় আব্দুল্লাহপুর-বাড্ডা রুটে একই পাবলিক বাসের কন্ডাক্টর। এছাড়া আউয়াল হাওলাদার পেশায় অটোরিকশা চালক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ