পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মল্যায়নের জন্য পৃথক বিধি প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদেশের পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে এ বিধি প্রণয়ন করতে হবে। বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কে.এম. কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চের দেয়া এ সংক্রান্ত রায় প্রকাশ হয়েছে গতকাল সোমবার। রায়ে এ বিধি প্রণয়ন করতে বলা হয়।

রিটকারীর কৌঁসুলি জুলহাসউদ্দিন আহমেদ জানান, ২০১৬ সালে জনৈক মোস্তাফিজুর রহমানের প্রতিবন্ধী ছেলে মোস্তফা মাসুদ মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ভালো পরীক্ষা দেয়ার পরও মোস্তফা মাসুদকে দুই বিষয়ে অকৃতকার্য দেখানো হয়। পরে খাতা পুনরায় মূল্যায়ন করতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে আবেদন করা হয়। তারপরও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। পরে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে পৃথক বিধি প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে ২০১৭ সালে মোস্তাফিজুর রহমান রিট করেন। শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালে বিচারপতি কাজী রেজা উল হকের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ রুল জারি করেন। এর পরপর মোস্তফা মাসুদকে জেএসসি পরীক্ষায় বোর্ড কৃতকার্য দেখায়। ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় মোস্তফা মাসুদ দুই বিষয়ে আবারও অকৃতকার্য হন। তখন মাসুদের খাতা পুনর্মূল্যায়ন চেয়ে হাইকোর্টে একটি সম্পূরক আবেদন করেন তার বাবা মোস্তাফিজুর রহমান। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চ আবারো রুল জারি করেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত বিধি প্রণয়নের আদেশ দেন। রিটকারীর কৌঁসুলি জুলহাসউদ্দিন আহমেদ রায় প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে তিন মাসের মধ্যে বিধি প্রণয়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব, দেশের সকল শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে রায়ে।