পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিএমডব্লিউ ও মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি বাংলাদেশে তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে জার্মানি। জার্মানি থাইল্যান্ডে যেভাবে গতিশীল উৎপাদন ব্যবস্থার মাধ্যমে অ্যাসেম্বল করে, সেভাবে এখানেও করবে। অর্থাৎ তারা বিএমডব্লিউ ও মার্সিডিজ বেঞ্জ’র কিছু পার্টস এখানেই তৈরি করবে এবং কিছু পার্টস বিদেশ থেকে নিয়ে আসবে। পরে এটা এখানে অ্যাসেম্বল করবে। বিষয়টি নিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন এবং সে আলোচনার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এটি একটি খুবই উত্তম প্রস্তাব কেননা তাহলে আর আমাদেরকে ব্যয়বহুল গাড়ী আমদানী করতে হবেনা। আরেকটি ভালো প্রস্তাব হচ্ছে, তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে আমাদের জিএসপি সুবিধা যেন বাতিল হয়ে না যায় এ বিষয়ে তারা সর্বোচ্চ সহায়তা করবেন।
ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে জার্মানির উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের সফরে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন, দলটি বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজের নেতৃত্বে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সভা শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, জার্মানীর সাথে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত সুপ্রাচীন, অনেক আগেই থেকেই তারা আমাদের দেশে বিনিয়োগ করে আসছে। এই মুহূর্তে তারা আমাদেরকে প্রস্তাব দিচ্ছেনÑ তারা বড় আকারে আমাদের পাট শিল্পকে ব্যবহার করতে চান। আমাদের এক সময়ের প্রধান রপ্তানী আয়ের সোনালী আশ পাট শিল্প ব্যবস্থাপনা করা আমাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে, তাই এটা অত্যন্ত উত্তম প্রস্তাব। আর মার্সিডিজের ভেতরে পাটের অনেক ব্যবহার রয়েছে। জার্মানির যত গাড়ি আছে, প্রায় সব গাড়ির ভেতরে পাটের অনেক ব্যবহার হয়ে থাকে।
অ্যাসোসিয়েশন অব জার্মান চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে সঙ্গে নিয়ে জার্মান এশিয়া-প্যাসিফিক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন জার্মান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের এ সফরের আয়োজন করেছে। এই দলে বস্ত্র, আসবাবপত্র, জাহাজ থেকে শুরু করে পরিবেশ-প্রযুক্তি, ব্যাংকিং ও পর্যটন খাতের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।