পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কিশোরদের গ্যাং কালচারে নিহত স্কুলছাত্র মহসিন (১৬) হত্যায় জড়িত দুই আসামি জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। মহসিন ছিলেন কিশোর গ্যাং ‘ফিল্ম ঝির ঝির’ গ্রুপের সদস্য। একই এলাকার ‘আতঙ্ক’ নামে আরেক গ্রুপের সদস্যরা খুন করে তাকে। গ্রেফতারকৃত দু’জন আসামি জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
ডিএমপির তেজগাঁঁও বিভাগের এডিসি ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও মূলহোতা পারভেজসহ সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। ‘ফিল্ম ঝির ঝির’ ও ‘আতঙ্ক’ দুটি কিশোর গ্রুপের বেশিরভাগই স্কুল পড়ুয়া। তারা মোহাম্মদপুর এবং আশেপাশের এলাকায় বসবাস করে। গত বুধবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ হাউজিংয়ের পাইওনিয়ার গলিতে ছুরিকাঘাত করে মহসিনকে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের বড়ভাই ইউসুফ আলী বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ জানায়, এজাহারভুক্ত প্রথম ও দ্বিতীয় আসামি আসিফ (১৮) ও রকিকে (১৮) গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত নামা আসামিদের মধ্যে আরো দুজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মামলার তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. ফারুক হোসেন জানান, বুধবার বিকেল তিনটার দিকে এক বান্ধবীকে নিয়ে ঢাকা উদ্যান এলাকায় ঘুরতে যান পারভেজ, ওই সময় সেখানে উপস্থিত হন মহসিন। সেই বান্ধবীকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে মহসিন পারভেজের মোবাইল ও এক হাজার টাকা রেখে দেন। পরে পারভেজ তার সঙ্গীদের ডেকে মহসিনের এলাকা চাঁদ উদ্যান এলাকায় যান। সেখানে মহসিনকে পেয়ে ১৫/২০ জন মিলে প্রথমে মারধর এবং পরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। তখন মহসিনকে বাঁচাতে তার তিন বন্ধু এগিয়ে গেলে তারাও আহত হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।