পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720107552](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) প্রথম মাস জুলাইতে রপ্তানি আয় কিছুটা বাড়লেও দ্বিতীয় মাসে (আগস্ট) এসে তা বড় ধরনের হোঁচট খেয়েছে। এই সময়ে ব্যাপক হারে কমেছে রপ্তানি আদেশও। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, এ মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ছিল ৩শ’ ৮৫ কোটি ৮০ হাজার ডলার। কিন্তু এর বিপরীতে আয় হয়েছে ২শ’ ৮৪ কোটি ৪৩ লাখ ১০ হাজার ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি আয় কমেছে ২৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। আর গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি আয় কম হয়েছে ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সে সময় আয় হয়েছিল ৩শ’ ২১ কোটি ৩৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার। অবশ্য রপ্তানিকারকরা বলছেন, আগস্ট মাস মূলত রপ্তানির জন্য মন্দা মাস। অর্থাৎ এই মাসে সাধারণত রপ্তানি কম হয়। এছাড়াও এই মাসে কোরবানি ঈদ থাকায় উৎপাদন কম হয়েছে। তবে আশঙ্কার কথা ব্যাপক হারে রপ্তানি আদেশ কমেছে। তাছাড়া প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে ডলারের দাম কমেছে। এসব কারণে আগস্টে রপ্তানি আয় কমেছে বলে মনে করেন তারা।
ইপিবির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭৬৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার। কিন্তু এই সময়ে আয় হয়েছে ৬৭৩ কোটি ২১ লাখ ৭ হাজার ডলার। মূলতঃ তৈরি পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়ায় কমেছে মোট রপ্তানি আয়ও। তৈরি পোশাক খাতে জুলাই-আগস্ট মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৬৪৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। বিপরীতে আয় হয়েছে ৫৭১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৫৭৫ কোটি ৫১ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
তবে এবার আলোচনায় থাকা চামড়া ও চামড়াজাতীয় পণ্যের রপ্তানি আয় সামান্য বেড়েছে। ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে ১৮ কোটি ৫৪ লাখ ১০ হাজার ডলারের চামড়া ও চামড়া পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ খাতে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৮ কোটি ৪৬ লাখ ২০ ডলারের।
আলোচ্য সময়ে পাট ও পাটপণ্যের রপ্তানি কমেছে। রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার ডলারের পাট ও পাটপণ্য। রপ্তানি হয়েছে ১৩ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র বর্তমান সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আগস্ট মাস মন্দা মাস। এই মাসে কোরবানির ঈদ থাকায় উৎপাদন কম হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো দীর্ঘদিন ধরে আমরা বলে আসছি যে, দিন দিন কারখানাগুলোতে রপ্তানি আদেশ কমে যাচ্ছে। কারখানাগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাজ নাই। প্রতিযোগিতায় আমরা টিকতে পারছি না। তিনি বলেন, ভারতে ডলারের দাম অনেক বেড়ে গেছে। অন্যদিকে পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ভিয়েতনামসহ প্রতিযোগী দেশগুলোতে ডলারের দাম কমেছে। আমাদের রপ্তানি হওয়ার মত ডেনিমের আদেশগুলো পাকিস্তানে চলে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৪ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ৪শ কোটি ডলার।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।