পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমি অনেককেই দেখি সারাদিন ফেসবুকে থাকে। ফেসবুকে আসক্তি হয়ে গেছে। এক ছাত্রনেতা এসে আমাকে বলছিল, গুলশান মসজিদের ইমাম তার বয়ানে বলেছেন, এটা সোশ্যাল মিডিয়া না, সোশ্যাল কোকেন। এই সোশ্যাল কোকেন থেকে আমাদের রক্ষা পেতে হবে। মসজিদের ইমাম যথার্থ বলেছেন। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে।
গতকাল শনিবার সকালে মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজের কনভেনশন হলে মাদক-সন্ত্রাস, শিশু নির্যাতন, ইভটিজিং ও সেলফোন-ইন্টারনেটের অপব্যবহার প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, সম্প্রতি কিশোরদের বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই গ্যাং কালচার প্রতিরোধে কাজ করছে। আমরা অভিভাবকদের বলব, আপনার সন্তানদের দিকে লক্ষ রাখুন। তারা যেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে না পড়ে। সন্ধ্যার পর কিশোররা কেন বাইরে থাকবে। হয় তারা পড়ার টেবিলে থাকবে, না হয় বাসায়। তারা বাইরে থাকবে কেন? আমরা দেখছি তারা অনেক রাত পর্যন্ত বাইরে থাকে। আমরা বলব, পরিবার থেকে তাদের দিকে খেয়াল রাখুন। যদি কোনো কিশোর অপরাধ করেই থাকে, তাহলে কিশোর আইনে তাদের বিচার হবে। তিনি বলেন, আজকে আলোচ্য বিষয় ইভটিজিংয়ের কথা আসছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইভটিজিং নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন। আমরা ইভটিজিং কমাতে পেরেছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, অভিভাবকরা ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডির এ বিষয় আরো কাজ করা উচিত। স্কুলের চারপাশের পরিবেশ ভালো রাখতে হবে।
গত কয়েক বছরে জঙ্গি হামলাকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে অনেক রাষ্ট্রের চক্ষুশূল হয়েছি আমরা। তারা ঘাপটি মেরে আছে। দেশকে অকার্যকর করতে চায় তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলছি, আমাদের কি ঐশীর কথা মনে আছে? সে তার বাবা-মাকে হত্যা করেছিল। তার বাবা কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। এ ধরনের ঘটনা আমাদের প্রতিদিন সামনে আসে। মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) ড. মইনুর রহমান চৌধুরী বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর্থিক অগ্রগতি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটছে। এ কারণে আমাদের অগ্রগতি যতটা দৃশ্যমান হওয়ার কথা তা হচ্ছে না। এখানে আমাদের ম্যানেজমেন্টের অভাব লক্ষণীয়।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আমরা নিজেরাই শিশুদের মানুষ হওয়ার কথা বলছি না। আমরা বলছি, জিপিএ-৫ পাও। শিশুরাও তাই ধারণা করে, জিপিএ-৫ পেলে জীবনে সব অর্জন হয়ে যাবে।
অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আব্দুর রউফ বলেন, এই সমাজ যদি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে আমাদের সন্তানরা কিভাবে বাঁচবে। তাই শেষ জীবনে এই সমাজটায় আরও কিছু অবদান রেখে যেতে চাই। যাতে মাদকমুক্ত সমাজ হয়।
সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আজকাল সন্তানরা অভিভাবক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষকদের কাজে আর বাস্তবে কোনো মিল দেখে না। অভিভাবকরা রাত জেগে ইন্টারনেটে পরীক্ষার ফাঁস হওয়া প্রশ্ন খোঁজেন। সেই প্রশ্ন তার সন্তানকে দেবেন, তা দিয়ে সন্তান জিপিএ-৫ পাবে। শিক্ষার্থীরা দেখছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি টাকা খেয়ে একজন অদক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে। তাহলে তারা কী নৈতিকতা শিখবে। সন্তান দেখছে, তার বাবার বেতনের সঙ্গে সম্পদের পার্থক্য। তার বাবা যে বেতন পায়, তাতে এত সম্পদ হওয়ার কথা না। কিন্তু তার বেতনের তুলনায় সম্পদ বেশি। তাহলে এই সন্তান তার বাবার কাছ থেকে কী শিখবে? এসব কারণেই অভিভাবক অনৈতিক হলে সন্তানের কাছে নৈতিকতা আশা করতে পারি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।