Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। ‘বহু ভাষায় সাক্ষরতা, উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে দেশব্যাপী উদযাপিত হবে দিবসটি। এ উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ, গত বছর যা ছিল ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ ১ বছরে দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে দশমিক ১ শতাংশ। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‌্যালির আয়োজন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এক বাণীতে প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, শিশুরা মাতৃভাষার পাশাপাশি অন্য ভাষা শিখতে পারলে তা বিভিন্ন দেশ ও জাতির মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে। একই সাথে নতুন নতুন অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নিজের জীবনমান উন্নয়ন এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখতে পারবে।
তিনি বলেন, সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন এবং সাক্ষরতা ও দক্ষতা উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। রূপকল্প ২০৪১, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণসহ দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম মানবসম্পদে পরিণত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সে লক্ষ্যে সরকার বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, প্রশিক্ষণ প্রদান, বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন, শতভাগ উপবৃত্তি বিতরণ, স্কুল ফিডিংসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতা দানের লক্ষ্যে ৬৪ জেলায় মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আমাদের নিরলস ও অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলে বিগত এক দশকে সাক্ষরতার হার ২৮ দশমিক ১২ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আমরা সাক্ষরতা ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংক্রান্ত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে দেশকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে চাই। এছাড়া জাতিসংঘ প্রণীত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-৪ (এসডিজি-৪) অনুযায়ী মানসম্মত ও সর্বজনীন শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, মায়ের ভাষায় সাক্ষরতা অর্জনের পাশঅপাশি অন্য এক বা একাধিক ভাষা শেখার সুযোগ সৃষ্টি করে আমাদের শিশু, কিশোর ও যুবদের গেøাবাল ভিলেজে যুক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বহু ভাষায় সাক্ষরতালব্ধ জ্ঞান বিভিন্ন দেশ, সংস্কৃতি ও ভাষার মধ্যে দৃঢ় মেলবন্ধন তৈরি করে। আমাদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তি জীবনমান ও দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ অপরিহার্য।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ