পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেবর জি এম কাদের ও ভাবী বেগম রওশন এরশাদের মধ্যকার নের্তৃত্ব ও কর্তৃত্ব নিয়ে বিরোধের মধ্যেই জাতীয় পার্টির কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বর জাতীয় পার্টির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। কাউন্সিলের প্রস্তুতি হিসেবে সারা দেশে দলকে আরো শক্তিশালী করতে ৮ বিভাগে ৮টি সাংগঠনিক টিম করা হয়েছে। অন্যদিকে রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে বেগম রওশন এরশাদের গতকাল যে প্রার্থী ঘোষণা করার কথা ছিল তা স্থগিত করা হয়েছে।
দলের কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কাউন্সিলে দলের নেতাকর্মীরাই জাতীয় পার্টির আগামী দিনের নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্তই আমি মেনে নেবো। পদ-পদবি বা ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জনের জন্য আমি রাজনীতি করি না। দেশ, দেশের মানুষ ও জাতীয় পার্টির জন্য আমাদের রাজনীতি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে গতকাল জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য এয়ার আহমদ সেলিম জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। যোগদান উপলক্ষে এক সভায় জি এম কাদের কাউন্সিলের ঘোষণা দেন।
এ সময় জি এম কাদের আরো বলেন, জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের বড় তিনটি রাজনৈতিক দলের অন্যতম। এ দলের দেশ পরিচালনায় অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্য রয়েছে। দেশের রাজনৈতিক শূন্যতায় দেশের মানুষ এখন জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। নতুন প্রজন্মের সামনে রাজনীতি করার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে জাতীয় পার্টি। তাই এখনই দলকে আরো শক্তিশালী করতে পারলে আগামী দিনের রাজনীতিতে এবং দেশ পরিচালনার প্রতিযোগিতায় জাতীয় পার্টি আরো এগিয়ে যাবে। দলকে আরো শক্তিশালী করতে ৮ বিভাগে ৮টি সাংগঠনিক টিম করা হয়েছে এবং সাংগঠনিক টিমের পরামর্শ অনুযায়ী দলকে আরো বেগবান করা হবে। তিনি আরো বলেন, জাতীয় পার্টি পার্টির গঠনতন্ত্র এবং প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এরশাদের নির্দেশনায় চলছে। এখানে বিভেদের অবকাশ নেই; বিভ্রান্তির সুযোগ নেই।
সভাপতির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, জাপার ওপর বারবার আঘাত এসেছে। নানা ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়েই জাতীয় পার্টি এগিয়ে যাচ্ছে। গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক এরশাদ তার অবর্তমানে জি এম কাদেরকে পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছেন। এটা গঠনতন্ত্র মোতাবেকই হয়েছে। রওশন এরশাদ আমাদের মায়ের মতো, তিনি আমাদের অভিভাবক। আমরা বিশ্বাস করি, কিছু মানুষের পরামর্শে তিনি বিভ্রান্ত হবেন না। দলের এগিয়ে চলার রাজনীতিতে তিনি আমাদের অভিভাবক হয়েই থাকবেন।
যোগদান অনুষ্ঠানে প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান এইচ এন এম শফিকুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সুলতান মাহমুদ প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ আব্দুল মান্নান, সুনীল শুভ রায়, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, আলমগীর সিকদার লোটন, নাজমা আখতার এমপি, মেজর অব. রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি, উপদেষ্টা মো. নোমান, ড. নুরুল আজহার, ভাইস চেয়ারম্যান সরদার শাহজাহান, মো. দেওয়ান আলী, আহসান আদেলুর রহমান এমপিসহ শতাধিক নেতা।
এদিকে বেগম রওশন এরশাদ রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের দলীয় প্রার্থী ঘোষণার জন্য সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু অনিবার্য কারণে সেই সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়।
জাপায় দেবর-ভাবির সমঝোতার উদ্যোগ
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রেক্রিপশনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান দেবর জিএম কাদের ও ভাবী স্বাঘোষিত চেয়ারম্যান রওশন এরশাদের বিরোধ মিঠিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে। গতকাল রাতে দুই পক্ষ্যে সমঝোতার লক্ষ্যে গুলশান ক্লাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রওশন এরশাদের পক্ষ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, ফখরুল ইমাম এমপি, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি ও সেলিম ওসমান এমপি। অন্যদিকে জিএম কাদেরের পক্ষ্যে ছিলেন কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি, জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি ও মেজর জেনারেল (অব) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি। এ সময়ে দলের মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপিও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সুত্রে জানা গেছে, রওশন এরশাদের পক্ষ্য থেকে জিএম কাদেরকে চেয়াম্যান মেনে নেয়ার প্রতিশ্রæতি দেয়া হয়েছে। তবে রওশন এরশাদকে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতার পদে বসাতে হবে। এ নিয়ে দুই পক্ষ্যের দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছিল। তবে জিএম কাদেরের পক্ষ থেকে রওশন এরশাদকে বিরোধী দলের নেতা মেনে নিতে আপত্তি নেই বলে ইংগিত দেয়া হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি।
উল্লেখ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলী নেতার পদ নিয়ে বিরোধের জের ধরে জাতীয় পার্টি ভাঙ্গনের মুখে পড়ে। ৩ সেপ্টেম্বর জি এম কাদেরকে বিরোধী দলের নেতা করার প্রস্তাবনা স্পীকারের অফিসে জমা দেয়া হয়। পরের দিন রওশন এরশাদ নিজেকে বিরোধী দলের নেতা নির্বাচনের জন্য স্পীকারের কাছে আবেদন করেন। সংবাদ সম্মেলন করে তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হন। শুধু তাই নয় নির্বাবন কমিশনে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয় জাতীয় পার্টির কার্যক্রমে রওশন এরশাদের সই ছাড়া অন্য কারো চিঠি যেন গ্রহণ করা না হয়। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।