টানা অনাবৃষ্টি ও খরতপ্ত আবহাওয়ার উন্নতির আভাস আপাতত নেই। অসহনীয় উঠেছে ভ্যাপসা গরম। দিনমান সূর্যের কড়া তেজে কাহিল মানুষ। প্রাণিকুলের অতিষ্ঠ জীবন। বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে হাসপাতাল-ক্লিনিক ও চিকিৎসকের চেম্বারে রোগীর ভিড় বেড়েই চলেছে।

গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিচ্ছিন্ন এলাকাভেদে শুধুই কক্সবাজার ছাড়া দেশের কোথাও তেমন বৃষ্টিপাত নেই। বরং দিনের তাপমাত্রার পারদ উঠে গেছে সিলেটে ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩২.৫ ও সর্বনি¤œ ২৭ ডিগ্রি সে.। ‘হঠাৎ বৃষ্টিতে’ সর্বোচ্চ বর্ষণের রেকর্ড কক্সবাজারে ৮৬ মিলিমটার। এ সময় ছিটেফোঁটা বৃষ্টিপাত হয়েছে ঢাকা ও বরিশালে মাত্র এক, চট্টগ্রামে ৩, সিলেট ও রাজশাহীতে ২, খুলনা ১৭, টেকনাফে ৬০, খেপুপাড়ায় ২৭ মিলিমিটারসহ কয়েক জায়গায় হালকা ও গুঁড়িবৃষ্টি হয়েছে।

আজ (রোববার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকাসহ অন্য বিভাগগুলোর কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ার তেমন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া বিভাগ বলছে বর্ষার মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় আবহাওয়াবিদ মোঃ বজলুর রশিদ জানান, ভারতের ওডিশা- গাঙ্গোয় পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও সংলগ্ন এলাকা থেকে সরে গিয়ে লঘুচাপটি বর্তমানে ওডিশা ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।