পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিরপুর রোডের সাইন্সল্যাব মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণে ২ পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনা তদন্তে কোন অগ্রগতি নেই। এক সপ্তাহ পাড় হলেও এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত বা গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। শুধু তাই নয়, গত ৫ মাসে রাজধানীতে তিনটি বোমা হামলা ও দু’টি বোমা হামলার চেষ্টার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তও প্রাথমিক পর্যায়ে ঘুরপাক খাচ্ছে। অথচ এ সব হামলার ঘটনার পর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা বরাবরই বলে আসছেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে এ সব হামলা চালানো হয়েছে।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতরা মাসের পর মাস ধরা না পড়ায় নতুন করে এ ধরনের ঘটনা ঘটনার সম্ভবনা থেকেই যাচ্ছে। একই সাথে তদন্তের সাথে প্রকৃত জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতারে সক্ষমতা এবং আগ্রহ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, প্রতিটি ঘটনায় বোমার আলামত ছাড়া পুলিশের কাছে উল্লেখ করার মতো কোনো অগ্রগতি নেই। একটি ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া গেলেও তা অস্পষ্ট। বিশেষ করে, ঘটনাটি রাতে হওয়ায় ফুটেজ দেখে কিছু বোঝার উপায় নেই। এ পর্যন্ত পুলিশ যেসব আলামত সংগ্রহ করেছে সেসব পরীক্ষায় বোমাগুলোকে শক্তিশালী মনে হয়নি।
তিনি আরো বলেন, ঢাকার প্রতিটি বোমা হামলার পর তদন্ত শুরুর কথা পুলিশ বললেও অগ্রগতি যে প্রাথমিক পর্যায়ে আটকে আছে, তা সবশেষ ঘটনার পর কর্মকর্তাদের কথাতেই স্পষ্ট। তবে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতারে সক্রিয় রয়েছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।
অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেছেন, তদন্ত যারা করছেন তাদের কাছে কোনো না কোনো তথ্য আছেই। পুলিশের ওপর এভাবে হামলার বিষয়টি নতুন। ফলে তদন্তে একটু সময় লাগছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বের করা অসম্ভব কিছু নয়।
এসব ঘটনার পর যা যা প্রয়োজন সবকিছুই করা হচ্ছে। পাশপাশি পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, পাঁচ মাসে রাজধানীতে কয়েকটি বোমা হামলার পর বিষয়টি নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। রাজধানীতে অনেকটা নিয়মিত বিরতিতে তিনটি বোমা হামলা এবং দুইটি হামলার চেষ্টা ঘটেছে, যার প্রতিটিতে পুলিশকেই লক্ষ্য করা হয়েছে বলে দাবি বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের। পুলিশের দু’টি শাখা এসব হামলার ঘটনা তদন্ত করছে। কিন্তু যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে এখনও চিহ্নিতই করা যায়নি। ফলে তদন্তও প্রাথমিক পর্যায়ে ঘুরপাক খাচ্ছে।
গত ৩১ আগস্ট রাতে মিরপুর রোডের সাইন্সল্যাব মোড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের নিরাপত্তা দলের কর্মকর্তা এএসআই শাহাবুদ্দিন আহত হন। গত ২৬ মে মালিবাগে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) কার্যালয়ের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা পুলিশের গাড়িতে বোমার বিস্ফোরণ ঘটলে এসআই রাশেদা খাতুন এবং এক রিকশাচালক আহত হন। গত ২৩ জুলাই খামারবাড়ি এবং পল্টনে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে একই সময় দুইটি কার্টনে বোমার সন্ধান পায় পুলিশ। পরে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়। প্রতিটি ঘটনার পরই মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের পক্ষ থেকে হামলার দায় স্বীকারের খবর গণমাধ্যমে এলেও পুলিশ তা বরাবরই নাকচ করে আসছে। সবকটি হামলার ঘটনার পর পুলিশ সদর দপ্তর এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। গত বুধবারও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এবং অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।