পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশর অর্থনীতি ‘ফোকলা’ করে দিয়েছে। আজকের পত্রিকাতে আছে, অর্থমন্ত্রী বলেছেন হলমার্ককে আবার সুযোগ দেয়া হবে। অর্থাৎ লুটেরা অর্থনীতিকে আবার লুটেরার মধ্য দিয়ে নিয়ে আসা হবে। এদের চরিত্র হচ্ছে এরা লুটেরা। আমি আগেও বলেছিলাম এরা সব লুট করছে চারিদিকে। গতকাল এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এমনভাবে লুট করছে যে, অর্থনীতি ফোকলা হতে চলেছে। মেগা প্রজেক্টে হচ্ছে মেগা চুরি। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রজেক্ট করা হয়-এটা নাকী একটা আইডল অর্থনীতি। কিন্তু এটা অতি দ্রুত বিশ্বের কাছে প্রমাণিত হয়ে গেছ এটা হোলো ইকোনমি বা ফাঁপা অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাইফুর রহমান একজন দেশপ্রেমিক ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের আমলে আসা সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিটের প্রজেক্ট বাতিল করে দিয়েছিলেন। সেকারণে মাইক্রো ইকোনমিক্স যেকোনো অর্থনীতিবিদকে জিজ্ঞাসা করলে দেখবেন তারা বলবেন, সাইফুর রহমান সাহেবের সময়ে সামষ্টিক অর্থনীতি ছিলো সবচেয়ে ভালো। ইচ্ছা করে নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য বা দলের লোকদেরে লাভবান করার জন্য সাইফুর রহমানরা দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেননি। এটা খুব বড় কথা- দেশ বিক্রি করে দেননি।
তিনি বলেন, আজকে সাইফুর রহমান সাহেবরা থাকলে এই রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র তৈরি হতো না। সাইফুর রহমান সাহেবরা থাকলে এই যে ব্যাঙের ছাতার মতো সমস্ত কিছু উঠে আসছে, রূপগঞ্জে আনবিক প্ল্যান্ট এভাবে তৈরি হতো না। ৩৭ হাজার টাকা একটা পর্দার দাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ফরিদপুরের হাসপাতালে এটা হয়েছে। বালিশ তো পর্দার কাছে হেরে গেছে। এই হচ্ছে অবস্থা। চতুর্দিকে শুধু লুট, লুটে নাও।
বিএনপির সময়ে ব্যাংকের অনুমতি না দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, খুব চাপ ছিলো নতুন ব্যাংক দেয়ার, লিজিং কোম্পনি দিতে হবে। তিনি (সাইফুর রহমান) শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেননি। আমাদের লোকেরাও বিক্ষুব্ধ উনি দেননি, অনেকে ব্যবসায়ী ছিলেন তারা বলেছেন যে, আমরা পাইনি। তিনি বলেেিছ্লন আমি এখানে লুটেরা অর্থনীতিতে পরিণত করতে পারি না। আজকে প্রমাণ হয়েছে এই যে ব্যাঙের ছাতার মতো ব্যাংক দিয়েছে, ব্যাংকগুলো মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।
ফখরুল দাবি করে বলেন, সাইফুর রহমান সাহেবের সময়ে, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেবের সময়ে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সময়ে অর্থনীতি ছিলো দৃঢ় অর্থনীতি। তখন বলা হয়েছিলো ইমার্জিং টাইগার, এটা উঠে আসছে একটা বাঘের মতো।
তিনি বলেন, সাইফুর রহমান সাহেবরা সবসময় জন্মায় না, তারা ক্ষনজন্মা। জিয়্উার রহমানের এই কৃতিত্ব ছিলো তিনি গ্যালাক্সি অব জুয়েলস নিয়ে এসেছিলেন, তিনি কতগুলো উজ্জল নক্ষত্রকে তুলে নিয়ে এসছিলেন যারা দেশটাকে ওই বটমলেস বাসকেট থেকে সমৃদ্ধির বাংলাদেশে নিয়ে গেছিলেন। আমি আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বলেছিলাম, বিদেশিরা এখনো মনে করে জিয়াউর রহমানের জন্ম না হতো তিনি যদি বাংলাদেশের পলিটিক্সে না আসতেন তাহলে বাংলাদেশ একটা ফেইলড স্টেটে পরিণত হতো।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজকে সরকার বড় বড় কথা বলে। সব কিছু তাদের নিয়ন্ত্রনে। গণমাধ্যম তাদের নিয়ন্ত্রনে। সরকার কথা বলতে দেয় না, তারা চায় না সত্য প্রকাশ হোক। আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে শুধু একটা মাত্র কারণে যে, উনি যদি বাইরে থাকেন তাহলে লুটপাট চলবে না, এভাবে মানুষের অধিকারকে বিনষ্ট করা যাবে না। ঠিকই উনি সমগ্র মানুষকে নিয়ে সেটাকে প্রতিহত করবেন। ইনশাল্লাহ এেেদ্শর মানুষ অবশ্যই দেশনেত্রীকে অবশ্যই মুক্ত করে আনবে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে এবং তাদেরকে প্রতিহত করবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের ১০ম মৃত্যবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই আলোচনা সভা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক অর্থমন্ত্রীর প্রশংসা করে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জাতীয় সম্পদ যাতে গুটিকয়েকের মধ্যে সীমাবদ্ধ হতে না পারে যাতে করে জনগণের কাছে পৌঁছানো যায় অর্থাৎ সম্পদের সুষম বন্টন করার জন্য সবসময়ে সাইফুর রহমানের সাহেব সংগ্রাম করতেন। আমরা তার সহকর্মী হিসেবে কাছে থেকে তা দেখেছি। আমি দেথেছি উনি কিভাবে ধনীদের থেকে সম্পদ এনে সাধারণ মানুষের কাছে বিতরণ করতেন- এটা চেষ্টা করতেন।
তিনি বলেন, আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী যে সবচাইতে বেশি আয় করে যে ৫ জন এবং সবচাইতে নিম্ন আয়ের ৫ জন তাদের মধ্যে তুলনাম‚লক গড় করে এটাকে বৈষ্যমের স‚চক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন সাইফুর রহমান সাহেবের সুষম বন্টনের পিলিসির কারণে বৈষ্যম ছিলো গরীবের চেয়ে ধনীর গড় আয় ৩০ গুন বেশি ছিলো। আর সেই হিসাব এখন পরিসংখ্যান ব্যুরোই বলছে, যেখানে ৩০ গুন ছিলো সেটা এখন বর্তমানে ১৪৩ গুন বেশি হয়েছে। অর্থাৎ ধনী-গরীরের মধ্যে বৈষ্যম দূরীকরনে সাইফুর রহমান বেশি গুরুত্ব দিতেন। আমাদের সময়ে, সাইফুর রহমান সাহেবের সময় উন্নয়নের ব্যাপারে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন সবচাইতে বেশি হয়েছে, অর্থ সেখানে বেশি দিয়েছেন।
ড. মোশাররফ বলেন, আজকে ওই গ্রামীন অবকাঠামো খুঁজে দেখেন সেই জায়গায় কোনো বরাদ্ধ নাই। পদ্মাসেতুতে আছে, ফ্লাইওভারে আছে, মেট্রোরেলে আছে। বিদেশীরা কাজটা পাচ্ছে, তারা টাকা নিয়ে গেছে, মালামাল তাদের দেশের থেকে নিয়ে যাচ্ছে। আজকে সুষম বন্টন বন্ধ হয়ে গেছে। সাইফুর রহমান সাহেবকে ওই ভাবে আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে।
আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও মরহুম এম সাইফুর রহমানের পুত্র সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।