Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কিশোর গ্যাং ও আধিপত্যের জের মোহাম্মদপুরে স্কুলছাত্র হত্যায় আটক ৫

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৭:১১ এএম


রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চাঁন মিয়া হাউজিংয়ে স্কুলছাত্র মহসিন (১৬) হত্যার নেপথ্যে কিশোর গ্যাং কালচারের আধিপত্য বিস্তার বলে প্রাথমিক ধারণা করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। র‌্যাব জানিয়েছে, কিশোর গ্যাংয়ের দু’গ্রæপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাÐ ঘটেছে। তবে পুলিশ বলছে, পূর্ব শত্রæতার জের ও প্রেমসংক্রান্ত দ্ব›েদ্বর জেরেই হত্যা। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে দুই জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তারা হলোÑ হত্যা মামলার ১ ও ২ নম্বর আসামি আসিফ ও রকি। এছাড়া সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে আরো ৩ জনকে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি। এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চাঁন মিয়া হাউজিংয়ের কালভার্ট সংলগ্ন স্থানে মহসিনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। পরে তার ভাই ইউসুফ আলী বাদী হয়ে ওই রাতেই মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন।
জানা গেছে, বিকেলে মোহাম্মদপুরে ঢাকা উদ্যানে বান্ধবীকে নিয়ে বেড়াতে যায় স্কুলছাত্র মহসিন। এ সময় পূর্বশত্রুতার জেরে বেশ কয়েক জনের সঙ্গে বাকবিতÐা হয় তার। পরে সন্ধ্যায় চান মিয়া হাউজিং সোসাইটিতে রাস্তার পাশে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল মহসিন। সন্ধ্যা সাতটা থেকে সাাড়ে সাতটার দিকে কয়েকজন দৃর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে তা ওপর হামলা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এসময় আহত হয় আরও দুইজন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, যখন ছেলেটিকে নিয়ে যায় তখন সে বেশ আহত হয়েছিল। আমাদের এলাকার ছেলেরা কর্মজীবী এদের আড্ডা দেওয়ার সময় নাই। বাহিরের কিছু ছেলে-পেলে এসে আড্ডা দিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই ফারুক হোসেন বলেন, বুধবার রাতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ওই ৫ জনকে আটক করা হয়। পরে আসিফ ও রকির সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অন্য ৩ জনের বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধীক টিম কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মোহাম্মদপুর থানা ওসি গণেশ গোপাল বিশ্বাস বলেন, আসামীরা এসে তাকে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। এক পর্যায় স্থানীয় লোকজনেরা তাকে সোহরওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখানেই সে মারা যায়। প্রেম সংক্রান্ত জটিলতা এবং পূর্ব বিরোধের জেরে এই হত্যাকাÐ ঘটতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। হামলাকারীরা মহসিনের পূর্বপরিচিত বলেও জানায় পুলিশ। অন্যদিকে র‌্যাবের দাবি, নিহত মহসিন আতঙ্ক নামের কিশোর গ্যাং গ্রæপের সদস্য। এলাকায় আধিপত্য এবং পূর্ব শত্রæতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা তাদের।
র‌্যাব ২ এর কোম্পানী কমান্ডার মোহাম্মদ মহীউদ্দিন ফারুকী সাংবাদিকদের বলেন, আতঙ্ক গ্রæপ নামে একটা গ্রæপ আর রায়ের বাজার থেকে অন্য একটি গ্রæপ আসছে। তাদের মধ্যে দ্ব›দ্ব হয়েছে আধিপত্যকে বিস্তারকে কেন্দ্র করে। যে কারণে মহসীন হত্যাকাÐ ঘটে। স¤প্রতি রাজধানীতে বেশ কয়েকটি কিশোর গ্যাং ধরা পড়লেও এখনো কিছু গ্রæপ সক্রিয় রয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ